শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান
অনলাইন রিপোর্ট: জাতীয় ঐক্য অটুট থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারবে না বলে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের ‘ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে’ বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেলেও ‘দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত’ এখনো থেমে নেই।
২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় তৎকালীন সরকারের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। তার এ আত্মত্যাগ আন্দোলনকে গণবিক্ষোভে রূপ দেয় এবং সরকার পতনের পথ সুগম করে।
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম নির্ভীক মুখ শহীদ ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, মিলনের আত্মদান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এক অনিবার্য বাঁক তৈরি করেছিল।বাণীতে তিনি শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ডা. মিলনের রক্তঝরা মৃত্যু ৯ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে ‘চূড়ান্ত বিজয়ের পথে ধাবিত’ করেছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল মিলনের দৃঢ় অঙ্গীকার। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
তারেক রহমান বলেন, বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রের বিজয় এনেছিলেন। এই পথ ধরেই দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, পতিত আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছরে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল। জনগণ তাদের মালিকানা হারিয়েছিল।