নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক হিসেবে শাপলার বিকল্প কোনো কিছু ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, শাপলা মার্কার জন্য তাঁরা তাঁদের জায়গায় দৃঢ় রয়েছেন। তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শাপলাকে অবশ্যই তাঁরা অর্জন করবেন।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বেলা ১১টার দিকে ইসি সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম বৈঠক করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘শাপলা ছাড়া বিকল্প কোনো অপশন নেই। আমরা বিকল্প কেন নেব? এটার আইনগত তো ব্যাখ্যা লাগবে। আমরা দেখেছি, এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যাখ্যা, কোনো কিছুই নির্বাচন কমিশন আমাদের দিতে পারেনি। …ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেমতো একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে। …শাপলা, কেবল শাপলা এবং শাপলার জন্য, এই মার্কার জন্য আমরা আমাদের জায়গায় দৃঢ় রয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এই শাপলাকে অবশ্যই আমরা অর্জন করব। এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
নির্বাচন কমিশনের আচরণের সমালোচনা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে মনে হয়, একটি ইনস্টিটিউশনাল অটোক্রেসি (প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র) তৈরি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় (শিডিউল) যে মার্কাগুলো রয়েছে, সেসব অন্তর্ভুক্তির কোনো নীতিমালা নেই। শাপলাকে কেন এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে না, সেটারও স্পষ্ট নীতিমালা নেই। বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তাদের যে মার্কাগুলো দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সময়, কোন নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে, সেটারও স্পষ্ট নীতিমালা নেই। মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাহদের আচরণের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আচার-আচরণের সাদৃশ্য রয়েছে।
শাপলা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, তাঁরা এখনো আশা রাখেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা বিজ্ঞপ্তিটা দেবে। তারা (এনসিপি) বলেছে, তাদের শাপলা—সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক দিতে হবে। তারা (ইসি) এই কথা এ পর্যন্ত বলেনি যে শাপলা দেবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, তাঁরা প্রতীক বাড়াতেও পারেন অথবা কমাতেও পারেন। এনসিপি আজ ইসিকে বলে এসেছে শাপলাকে দ্রুত এনলিস্ট (তালিকাভুক্ত) করে জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
 
						 
			