https://www.a1news24.com
১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩২

জলে আনন্দে ভাসায় ‘সুখের তরী’

পৃথিবীতে হয়তো খুব কম মানুষই আছে যাদের কাছে নদী, জল অপছন্দের৷ বলতে গেলে নদীতে কিংবা লেকে জলে ভাসতে চাওয়া মানুষের একটি শখ৷ আর জলে ভাসাটা যদি হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ লেক রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে, তাহলে তো কথায় নেই৷

আর এ কারণেই রূপের রাণী খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সবুজ পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে বয়ে চলা কাপ্তাই লেকের ভ্রমণকে আরো পরিপূর্ণতা দিচ্ছে প্রিমিয়াম হাউসবোট “সুখের তরী”। কাপ্পাই লেকে হ্রদ-পাহাড়ের মেলবন্ধন যে কোন ভ্রমণ পিপাসুর ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটানোর সব ধরণের ব্যবস্থা করে রেখেছে সুখের তরী৷

সুখের তরী হাউজবোটটিতে চড়ে কাপ্তাই লেকের আশেপাশের সুবলং বড় ঝর্ণা, সুবলং ছোট ঝর্ণা, আদিবাসী মার্কেট, বৌদ্ধ বিহার, লেকশোর, লেক প্যারাডাইস, পলওয়েল পার্ক, ঝুলন্ত ব্রীজ, বেরাইন্না/বড়গাঙসহ বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা ঘোরার সুযোগ পেয়ে থাকেন দর্শনার্থীরা।

রাজকীয় আধুনিক সুবিধা এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়া সম্বলিত হাউজবোটটিতে পাওয়া যাবে ৬টি সুপ্রশস্ত এসি লক-ডোর কেবিন; প্রত্যেকটি কেবিনে লাইট, ফ্যান, এসি, চার্জিং পয়েন্ট; সুবিশাল স্বচ্ছ গ্লাসের জানালা; প্রতিটি রুমে ড্রেসিং গ্লাস, জামা- কাপড় রাখার স্টান্ড এবং লাগেজ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা; ২টি মানসম্মত আধুনিক ওয়াশরুম (দুটোই হাইকমোড); স্টাফদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম; প্রায় ৩০০ বর্গফুটের ফুটের বিশাল লবি; লবিতে ইনডোর গেমস (ডার্ট, কার্ড, উনো, লুডু, দাবা ইত্যাদি); বোটের সামনে কাপলদের জন্য বসার জায়গা হিসাবে আছে চমৎকার একটি দোলনা; বোটের একদম পিছনে রয়েছে আলাদা স্মোকিং জোন।

হাউজবোটটিতে ভ্রমণকালে বার্বিকিউ পার্টিসহ খাবার দাবারে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। দক্ষ বাবুর্চিদের মাধ্যমে পাহাড়ী ও দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয় দর্শনার্থীদের জন্য।

কেবল নানা সুযোগ-সুবিধা নয়, সুখীর তরী এই হাউজবোটে রয়েছে দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরণের ব্যবস্থা৷ হাউজবোটটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, জরুরি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, জেনারেটরসহ প্রভৃতি সেবা।

সুখের তরী হাউজবোটটির মালিক আরাফ ইনতিসার দিপ্ত বলেন, ‘সুখের তরীতে ভ্রমণ করে এখন পর্যন্ত সবাই সন্তুষ্ট, যেটা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমরা রাঙামাটির পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে দর্শনার্থীদের সব ধরণের সেবা দিতে চাই। পর্যটককের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় আমাদের মূল লক্ষ্য৷’

রাঙামাটির শহীদ মিনার ঘাট থেকে শুরু হয় ‘সুখের তরী’র ভ্রমণ। একদিন কিংবা দু দিনের ভ্রমণে সম্পূর্ণ কাপ্তাই লেক ঘুরে বেড়ায় এই হাউজবোট৷ পুরো হাউজবোট রিজার্ভ করতে জনপ্রতি খরচ হতে পারে ৪০০০ থেকে ৬০০০০ টাকা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অথবা মোবাইলে যোগাযোগ করে সময় সাপেক্ষে রুমও ভাড়া নিতে পারবেন যে কেউ। যোগাযোগের নাম্বার: ০১৮৮০৮৭৯৫৯৯। ফেসবুক লিংক: https://shorturl.at/CVWZ6

আরো..