স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে সহ-আয়োজক মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি। অন্যদিকে আসরের ফাইনাল হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে।
আজ বিশ্বকাপের শিডিউল প্রকাশ করেছে ফিফা। যেখানে কোন ভেন্যুতে কোন ম্যাচ হবে তা জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মার্কিন কমেডিয়ান ও অভিনেতা কেভিন হার্ট, ড্রেক এবং সেলেব্রিটি কিম কার্দাশিয়ান।
তিন দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে ৪৮ দলের বিশ্বকাপের ১০৪টি ম্যাচ আয়োজন করবে। এবারই প্রথম দীর্ঘ ৩৯ দিন ধরে চলবে বিশ্বকাপ। যা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের চেয়ে ১০ দিন বেশি। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করতে হবে দলগুলোকে। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের দুই ভেন্যু ক্যানসাস ও ডালাসের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০০ মাইলের, দূরত্বের দিক থেকে যা সবচেয়ে কম। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব লস অ্যাঞ্জেলেস ও আটলান্টার মধ্যে- প্রায় ২২০০ মাইল!
ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১১ জুন মাঠে গড়াবে আসরের প্রথম ম্যাচ। যার ভেন্যু মেক্সিকো সিটির বিখ্যাত আজতেকা স্টেডিয়াম। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই মাঠ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ ও ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ খ্যাত দুই গোলের সাক্ষী হয়েছিল। ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল এই মাঠেই। এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৮৩ হাজার।
অন্যদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই। ফাইনালের ভেন্যু নিউজার্সির মেটলাইভ স্টেডিয়াম মূলত আমেরিকান ফুটবল টিম নিউইয়র্ক জায়ান্টস এবং নিউইয়র্ক জেটসের ঘরের মাঠ। নিউজার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ৮২ হাজার ৫০০ দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ছিল এটি। আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হবে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির স্টেডিয়ামে।
২০২৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ৮টি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে- লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যানসাস সিটি, মায়ামি এবং বোস্টন। সেমিফাইনালের দুই ভেন্যু হচ্ছে ডালাস ও আটলান্টা। এর মধ্যে ডালাস সবমিলিয়ে আয়োজন করবে ৯টি ম্যাচ। তিন আয়োজক দেশ গ্রুপ পর্বে নিজেদের সব ম্যাচ ঘরের মাঠেই খেলবে। নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী ৪৮ দলকে ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতি গ্রুপে দল থাকবে ৪টি করে। এবারই প্রথম ৩২ দলের নকআউট পর্ব দেখা যাবে। ২০২৫ সালে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।