অনলাইন ডেস্ক: সৌর ক্রিয়াকলাপের কারণে পৃথিবীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে দুই দশকের সবচেয়ে বড় ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়। এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরিষেবা ব্যহত হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট তৈরির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা অন্তত ৭৫০০ স্যাটেলাইটের প্রায় ৬০ শতাংশের মালিক কোম্পানি স্টারলিংক। পাশাপাশি, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও এটি অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি। স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলো ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে অনেক চাপের মধ্যে থাকলেও অবস্থা সামলে নিচ্ছে বলে এর আগে এক্স-এর এক পোস্টে বলেছিলেন মাস্ক।
২০০৩ সালের অক্টোবরের পর এটিকে সবচেয়ে বড় সৌর ঝড় বলছে ‘ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। সম্ভবত ঝড়টি এক সপ্তাহের জন্য অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
পৃথিবীর নিচের দিকের কক্ষপথে থাকা হাজার হাজার স্টারলিংক স্যাটেলাইট, আলোর গতিতে একে অপরের মধ্যে ডেটা আদান প্রদান করে। আর এটি করতে ব্যবহার করে ইন্টার-স্যাটেলাইট লেজার লিংক, যার মাধ্যমে কোম্পানিটি সারা বিশ্বে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে।
ভূ-চৌম্বকীয় সৌর ঝড় তখনই হয় যখন সূর্যের সৌর বিস্ফোরণ পৃথিবীর চুম্বকমণ্ডলের সংস্পর্শে আসে। গোটা বিষয়টি কিছুটা ভীতিকর মনে হলেও পৃথিবীতে থাকা মানুষদের তেমন চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
“শারীরিকভাবে আমাদের প্রভাবিত করতে একটি শিখা থেকে ক্ষতিকারক বিকিরণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না।”-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ব্যাখ্যা করেছে নাসা। তবে এ ঝড়গুলো প্রযুক্তিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, জিপিএস, স্যাটেলাইট অপারেশন, এমনকি পাওয়ার গ্রিডকে ব্যাহত করার জন্যও এসব ঝড় পরিচিত বলে লিখেছে এনগ্যাজেট।
তথ্য সূত্র- রয়টার্স।