ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ইনিংসের ৪র্থ ওভারের প্রথম ডেলিভারি। বিনুরা ফার্নান্দোর বলে উইকেট কিপারের গ্লাভসে ক্যাচ হন সৌম্য সরকার। অনফিল্ড আম্পায়ার বিনুরার আবেদনে আঙুল উঁচিয়ে আউট দিলেও রিভিউ চ্যালেঞ্জ নিয়ে উইকেট বাঁচান সৌম্য। থার্ড আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেছেন তারা সৌম্যর আউটের ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখবেন। অভিযোগ নিয়ে প্রথমে ম্যাচ রেফারি এরপর আইসিসির কাছে যাবে শ্রীলঙ্কা।
থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ম্যাচ রেফারির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাবে শ্রীলঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট।
অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেলের আউট মুছে থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল সিদ্ধান্ত জানান সৌম্যর পক্ষে। তার যুক্তি ছিল, ব্যাট আর বলের মাঝে যথেষ্ট গ্যাপ। আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা গেলেও তা ছিল কয়েক ফ্রেম পরে। আর একারণেই সৌম্য সরকার ‘নট আউট’। থার্ড আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। তারা ছুটে গেছেন আরেক অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকতের কাছে। সৈকত অবশ্য তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন। শ্রীলঙ্কার ডাগআউটে থাকা হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড অভিযোগ জানান ফোর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের কাছে।
আল্ট্রা এজ একটি স্পাইক দেখায়, কিন্তু থার্ড আম্পায়ার মনে করেন যে স্পাইক দেখা গেলেও ব্যাট এবং বলের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সৌম্য সরকার আসলে মাঠের সাইড স্ক্রিনে স্পাইক দেখে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটাও শুরু করছিলেন। কিন্তু টিভি আম্পায়ার যতদূর তা দেখেছেন, স্পাইকটি ফ্রেমে অনেক দেরিতে এসেছিল।
সৌম্য অবশ্য এরপর ইনিংস বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা অবশেষে সৌম্যর উইকেট পায়, এবার মাথিশা পাথিরানার বলে ক্যাচ লুফে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ২২ বল খেলা সৌম্য ২৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।