https://www.a1news24.com
২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৫৭

সীমান্তে গোলাগুলি কমলেও নতুন করে ৬৩ বিজিপির বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

কক্সবাজার প্রতিবেদক: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গেলেও অনেকটা বন্ধ রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বিজিপির আরও ৬৩ সদস্য পালিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে বিজিবির হেফাজতে মিয়ানমারের মোট ৩২৭ জন রয়েছেন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উলুবনিয়ার সীমান্ত দিয়ে বিজিপির এই ৬৩ সদস্য পালিয়ে আসেন বলে নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত বিজিপি, সেনা ও সাধারণ নাগরিকসহ মোট ৩২৭ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এর আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী ও আহত সাধারণ নাগরিকসহ পালিয়ে আসা ২৬৪ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। বিজিবির হেফাজতে ২৬৪ জনের থাকাদের মধ্যে ২২২ জন, সেনা সদস্য ২ জন, সিআইডি ৪ জন, লোকাল পুলিশ ৫ জন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ২০, অসামরিক ২ জন রয়েছেন।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ বলা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলেও গোলাগুলির শব্দ আর নেই।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সীমান্ত পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন।

আরো..