সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গুনী ব্যক্তিদের সবসময় মূল্যায়ন করেন। বহুগুনে গুনান্নিত ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল-কবির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদান রাখায় দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়েছে। ড. আহমদ আল-কবির শেখ হাসিনা স্বর্ণ পদক লাভ করে নিজে সম্মানিত হননি, সিলেটবাসীকে সম্মানিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরিতে ড. আহমদ আল-কবির যে ভুমিকা রাখছেন সিলেটবাসী তাঁকে সম্মান জানানো উচিত। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান সিলেটকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়তে সবাইকে সহযোগিতার আহবান জানান।
তিনি মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে নগরীর মাছিমপুরস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবীর সীমান্তিক কমপ্লেক্সের হলরুমে সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা ও চীফ পেট্রন, দেশের সর্বপ্রথম সিলেটে প্রতিষ্ঠিত আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ স্বর্ণ পদক লাভ করায় তার সম্মানে সীমান্তিক পরিবার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সীমান্তিকের চেয়ারপার্সন শামীম আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সীমান্তিক শিক্ষার পরিচালক অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ তাপাদার ও প্রভাষক মিথিলা রায় এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবু নাছের জাফরউল্লাহ, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমদ ভিপি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ চৌধুরী।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নভেল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা ও চীফ পেট্রন ড. আহমদ আল কবির। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সহকারী শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুর রহমান। পবিত্র গীতা পাঠ করেন সীমান্তিক শিক্ষা পরিবারের সদস্য স্বর্ণা পুরকায়স্থ।
সংবর্ধিত অতিথি ড. আহমদ আল কবিরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সীমান্তিকের চেয়ারপার্সন শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন চৌধুরী, সীমান্তিক প্রশাসনিক পরিষদের ইডি কাজী মোকছেদুর রহমান, ডিইডি কাজী হুমায়ুন কবির, অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ তাপাদার, সীমান্তিক মানবসম্পদ পরিষদের ব্যবস্থাপক ফাতেমা জান্নাত মৌ সহ সীমান্তিক পরিবারের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ আল কবির বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ স্বর্ণ পদক করেছি। এই অর্জন আমি সিলেটবাসীকে উৎসর্গ করলাম। যতদিন বেঁচে থাকবো দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। তিনি কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি