প্রবাসে থেকেও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উপর হামলার অভিযোগে একাধিক গায়েবি মামলার আসামি হচ্ছেন একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। নাম আজহারুল ইসলাম মুমিন। তিনি ফিজা এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের একজন পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং ফিজা এন্ড কোম্পানীর যুক্তরাজ্যের শাখা পরিচালনা করছেন। দেশ-বিদেশে তাদের ফিজা এন্ড কোম্পানীর সুনাম রয়েছে। তার এলাকায় তাদের পরিবারের সুনাম রয়েছে।একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গেল বছরের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তার উপর মামলা হয়েছে। অথচ দেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে তিনি জুলাই মাসের শুরুর দিকে আবার নিজের কর্মস্থল যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাবেক মেয়র ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার বন্ধু সাজু এনএসআই ও দুদকে অভিযোগ করার কারণে এবং ওই নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তাকে তাঁতী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। মুলত কিছু সিনিয়র নেতা সিসিক নির্বাচনের সময় বিলবোর্ডের জন্য তার কাছে মোটা অংকের ডোনেশন দাবি করেন, সেই দাবি পুরন না করায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
আজহারুল ইসলাম মুমিন বলেন, আমি যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন অবস্থায় আমার নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সিলেটে আছি বলে আমায় কয়েকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। যার সময়কাল আগস্ট ২০২৪। যে সময়টাতে আমি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলাম। ইতোমধ্যে আমার পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন আমাকে মামলা গুলোর সম্পর্কে অবগত করেছেন। মামলার যে বাদী তাকে আমি চিনি না এবং আমার ধারণা তারাও আমাকে চিনবেন না। আমার ধারনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সামাজিক সম্মান ক্ষুন্নের জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি যাতে বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য না করতে পারি সেজন্য কিছু মামলাবাজ এই এসব মামলা দায়ের করেছেন।
প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন থাকবে প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে যে সকল মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, যথাবিহিত তদন্ত পূর্বক আমার অবস্থান জেনে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক এবং বাংলাদেশে এসে দেশের কাজ করার জন্য করার সুযোগ করে দেয়া হোক। সেই সাথে আমি দেশের সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।