জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সেক্রেটারী জেনারেল প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেছেন, প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। আমরা এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই তবে নতুন কারিকুলাম এর মৌলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও আবারও তা ব্রেক করা হয়েছে।
একইভাবে এবারের রমজানে সারা মাস ছুটির ঘোষণা দিয়েও পরে তা বাতিল করা হয়েছিল। অন্যদিকে রমজানে শিক্ষক ফোরাম এর পক্ষ থেকে বেসরকারি এমপিও শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবী জানানো হলেও পূর্বের মত মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা বহাল রাখা হয়েছে। শিক্ষা ও শিক্ষকের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন সুফল বয়ে আনতে পারে না।
অতএব, রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না রাখা, শনিবার বন্ধ থাকবে নাকি থাকবে না এবং উৎসব ভাতা শতভাগ দেয়ার বিষয়ের সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট করা উচিত। আজ ২৬ এপ্রিল’২৪ ইং শুক্রবার সকাল ৭ টায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ” ঈদ পুনর্মিলনী” অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক এর বক্তব্যে সেক্রেটারী জেনারেল উপর্যুক্ত কথা বলেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুফতী আমীর হুসাইন এর পরিচালনায় সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত নিউজে বলা হয়েছে, “শরিফ-শরীফার গল্পে নাকি কোন ভুল পাওয়া যায়নি। কিছু শব্দ হয়ত পরিবর্তন করা যেতে পারে”। অথচ ওখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, “ছোট বেলায় ছেলে-মেয়েতে কোন পার্থক্য নেই”। এই বাক্যে সুস্পষ্ট ট্রান্সজেন্ডার এর দিকে ইঙ্গিত দেয়। আমরা থার্ড জেন্ডার এর পক্ষে তবে ট্রান্সজেন্ডার এর বিপক্ষে। এই গল্পে থার্ড জেন্ডার এর কথা বলা হলেও ট্রান্সজেন্ডারকে সুকৌশলে প্রমোট করা এবং কোমলপ্রাণ শিশু-কিশোরদের মনে জেন্ডার সম্পর্কে বিভ্রান্তের বীজ বপন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান থাকবে, এই গল্প বাতিল করে প্রয়োজনে আলাদা ভাবে থার্ডজেন্ডার এর পক্ষে গল্প তৈরি করে সূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
আজকের প্রোগ্রামে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মাসুম রব্বানী,সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়াস্যারসহ অন্যান্য নগর নেতৃবৃন্দ।