হাতকড়াসহ সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা
টি.আই সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: আমাকে কি কারনে হাতকড়া পড়ানো হলো? কেনইবা আবার ছেড়ে দিলো? সুনির্দিষ্ট অভিযোগ/মামলা ব্যতিত কাউকে হাতকড়া/গেপ্তার করার নিয়ম নেই। কাউকে হাতকড়া পড়িয়ে গ্রেফতার করা হলে নিয়ম অনুযায়ী তাকে কোর্টে চালান করতে হয় পর্বরর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে। তা না করে কোনো মুচলেকা ব্যাতিত এমনি এমনিই ছেড়ে দেওয়া হলো কেনো? ইতোপূর্বে কি আপনার নামে কোনো অভিযোগ/মামলা ছিলো? পুলিশ হোক জনগনের বন্ধু। সাধারণ মানুষকে অযথা হয়রানি করার নিয়ম কারো এমনকি প্রশাসনেরও নেই। এটা মানহানিকর ও মানবতা বিরুদ্ধে। বিষয়টা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমনই এক স্ট্যাটাস লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এক ব্যবসায়ী সবুজ সরকার (২৫)। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে। এবং আটক করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে আব্দুল কদ্দুস মৃধাকে ক্লোজ করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর হানুমার্কে এলাকার আফতাব উদ্দিন সরকার এর ছেলে। আটক থাকা অবস্থায় হাতকড়াসহ সেলফি তুলে সে তার ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সোমবার (০৬ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ক্লোজ করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কুদ্দুস মৃধা মাওনা (চকপাড়া) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (০৩ জানুয়ারী) মোবাইল ব্যবসায়ী সবুজ সরকারকে শ্রীপুরের নয়নপুর (ধনুয়া) হানু মার্কেট এলাকা থেকে আটক করেন। পরে তার সাথে থাকা টাকার ব্যাগ হাতিয়ে নেন ওই এসাই। ফেসবুকে হাতকড়াসহ ছবি পোস্ট করার পর তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
সবুজ সরকার বলেন, গত শুক্রবার হানু মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করেন মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কুদ্দুস মৃধা। আটকের পর তাকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পাশের একটি লোহার পাইপের সাথে আটকে রাখেন। আটক করে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই এস আই কুদ্দুস মৃধা। এরপর আটক থাকা অবস্থায় তিনি সেলফি তুলে রাখেন। টাকা নেওয়ার পর ওই পুলিশ সদস্য তাকে ছেড়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পারিবারিক জমি নিয়ে এক স্বজনের সঙ্গে বিরোধের জেরে তাকে হয়রানি করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পুলিশের ওই এসআই।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্দুস বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। জমি সংক্রন্ত বিরোধে দুটি পক্ষ সড়কের উপর সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবুজ সরকারকে আটক করে। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে আটক করে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। পুলিশকে বিপাকে ফেলতে অহেতুক অভিযোগ তোলা হচ্ছে।