https://www.a1news24.com
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:১৪

শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ—বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২০, চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ মাওনা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক ও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর আগেও মাওনা ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির নেতা কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে।

সেই ধরাবাহীকতায় জের ধরে ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন পরিষদে যান। সেখানে তিনি নিজ কার্যালয়ে কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোক্তারুল করিম শামীম¡ অন্তত্য ২০—২৫জন ব্যক্তি ওই ইউনিয়ন পরিষদে যায়। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয় পরে বিষয়টি মারামারিতে রূপনেয়। পরে পরিষদের চত্তরে রাখা চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ভাংচুর চালায়। এসময় পরিষদের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান সহ অন্যরা বেরিয়ে এলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত্য বিশজন আহত হয়। এসময় পরিষদের ভেতরে ব্যাপক ভাংচুর করে দুবৃত্তরা। স্থানীয়রা চেয়াম্যান সহ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আশপাশে খবর ছড়িয়ে পরলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা জড়ো হয়ে চেয়ারম্যানের সিংগারদিঘী গ্রামের বাড়িতে হামলা করতে যায়। গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলা কারীদের প্রতি হত করে। এসময় চারটি মোটরসাইকেল অগ্নি সংযোগ করা হয়।

আহত বিএনপি নেতা মোক্তারুল করিম শামীমের ছেলে উপজেলা ছাত্র দলের আহব্বায়ক জিয়াউল করিম রিফাত মোড়ল বলেন আমার বাবা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে প্রবেশের মহুর্তে অতুর্কিত ভাবে চেয়ারম্যানের লোকজন আমার বাবাসহ তার সাথে থাকা লোকদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করে। এসময় আশ পাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধারকরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের লোকদের মারপিট করে অন্তত দশ জনকে আহত করে। এবিষয়ে মোক্তারুল করিম শামীম ৩৪ জনের নাম ঊল্লেখ করে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মাওনা ইউনিয়ন পরিষরেদর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন জানান, কয়েক দিন যাবৎ বিএনপি নেতা মোক্তারুল করিম শামীমের নেতৃত্বে বিএনপির লোকজন প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়। আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় পরিষদে না যাইতে। তাদের হুমকির কারণে আমি নিয়মিত পরিষদে যাইতে পারিনা। জন ভোগান্তি লাঘভ করতে রবিবার সকালে পরিষদে যাই। এসময় বিএনপির নেতার নেতৃত্বে হামলাকারী পরিষদে হামলা চালায়। হামলায় আমি, গ্রাম পুলিশ, ড্রাইভরি, দফেদার সহ অত্যন্ত দশ জন আহত হয়েছি। হামলা কারীরা আমার প্রাইভেটকার সহ পরিষদের আসবাপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করতে যায়। গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ বাধার মুখে হামলাকারীরা ফিরে আসে। তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে সেনাবাহীনির টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার(ভূমি) আতাহার শাকিল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেনাবাহীনি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরো..