বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউড অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও জায়েদ খানের সখ্যতার কথা কারও অজানা না। সেকারণে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ডিপজল প্যানেল দেওয়ার ঘোষণা দিলে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদকের পদে জায়েদের নাম-ই শোভা পাবে। তবে সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ডিপজল জানিয়েছলেন এরকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে ডিপজলের ওই মন্তব্যের পরও কৌতূহলীরা ভাবছিলেন শেষ পর্যন্ত জায়েদই হবেন তার সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সম্প্রতি মিশা সওদাগর ও ডিপজল একজোটের খবর জল ঢেলে দেয় কৌতূহলের সে আগুনে। তখন থেকেই প্রশ্ন ছিল জায়েদ এখন কী করবেন?
এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমকে ডিপজল জানান সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি নিজেই থাকবেন। তার প্যানেলের সভাপতি হবেন মিশা। প্যানেলে জয় চৌধুরীও থাকছেন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। এমতবস্থায় জায়েদ প্যানেলটিতে থাকবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে ডিপজল বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছি। এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই প্যানেল গুছিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।’
এদিকে জায়েদ জানান, তিনি এখনই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়ই মুখ খুলবেন তিনি। তাই তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানকে নিয়ে কৌতূহল থেকেই যাচ্ছে।
এর আগে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ডিপজল। বর্তমান কমিটিতে আছেন সহ-সভাপতি হিসেবে। অন্যদিকে দুইবারের সভাপতি মিশা। একই প্যানেল থেকে দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জায়েদ খান। গত নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ। তখন তার বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে আদালত নির্দেশ দেন নিপুণ আক্তারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে কোনো বাধা নেই।
আগামী ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। গত ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই চূড়ান্ত হয় ২০২৪-২৫ সালে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তারিখ।