অনলাইন ডেস্ক: গ্রীষ্মের এই সময় দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ সময় সবার শরীর থেকেই প্রচুর ঘাম বের হয়। আবার পানির তৃষ্ণা তো রয়েছে। আর সূর্যের প্রখরতার কারণে স্বাভাবিকভাবে শরীর অনেক গরম থাকে। এ অবস্থায় শরীর ঠান্ডা রাখা জরুরি।
গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে কেউ ফ্রিজের বিভিন্ন পানীয় পান করেন। আবার কেউ খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেঁপে ও লাউ। এই সবজি দুটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু কেউ কেউ বলে থাকেন, পেঁপে শরীর ঠান্ডা রাখতে কার্যকর বেশি। আবার কেউ এ ক্ষেত্রে লাউকে এগিয়ে রাখেন। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
পেঁপের গুণাগুণ: পেঁপে অনেকেরই প্রিয় খাবার। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ই এবং কে রয়েছে। এসব উপাদান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আবার পেঁপেতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলস বের করে। এ জন্য সুস্থ থাকতে নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।
লাউও পিছিয়ে নেই: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, সেলেনিয়াম, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের উৎস বলা হয় লাউকে। এই তীব্র গরমের সময় নিয়মিত লাউ খেলে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের শূন্যতা দূর হয়। এছাড়া ফ্যাটি লিভার থেকে শুরু করে ক্যানসারের মতো জটিল সব অসুখ প্রতিরোধেও সহায়ক লাউ। নিয়মিত লাউ খাওয়ার ফলে রক্তে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ জন্য গরমের সময় নিয়মিত লাউ খেতে পারেন।
লাউ না পেঁপে, কোনটি শরীর ঠান্ডা রাখে: লাউতে প্রায় ৯২ শতাংশ জলীয় অংশ রয়েছে। এ জন্য নিয়মিত লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে, এমনটা বলাই যেতে পারে। অপরদিকে পেঁপেতেও যথেষ্ট পরিমাণ জল রয়েছে। একইসঙ্গে পেঁপেতে প্যাপাইন নামক উৎসেচক রয়েছে। এ উপাদানটি হজমক্ষমতা চাঙা রাখতে সহায়ক। এ জন্য পেট ঠান্ডা রাখতে চাইলে লাউ এবং পেঁপের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা না করে দুটিই খেতে পারেন।
কী পরিমাণ খেতে হবে: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে মোটামুটি ৩০০ গ্রামের মতো সবজি খাওয়া উচিত। এই পরিমাণ সবজির মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী লাউ ও পেঁপে রাখতে পারেন। পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও রাখতে পারেন। এতে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি কাটবে। একইসঙ্গে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হবে।