লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সে উপজেলার স্থানীয় বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রাজুর ছেলে শাহরিয়ার নাফিজ স্কুলে যাওয়া আসার সময় দশম শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া তরি(১৬)কে উত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি সিনথিয়া তরি তার বাবা মোরশেদুল আলম খন্দকারকে জানালে সে নাফিজের পরিবারকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিনথিয়া তরি সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে বের হলে একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম রাজু,শাহরিয়ার নাফিজ(২২) ও আব্দুল ছালাম খন্দকারসহ কয়েকজন মিলে সাদা রং একটি মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নামে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় অপহরণের মামলা করেন। মামলায় চারজন আসামি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এর পর অভিযুক্ত শাহরিয়ার নাফিজ পলাতক।
ঘটনার দশ মাস অতিবাহিত হলেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত তার পরিবার।
স্কুল ছাত্রীর বাবা মোরশেদ আলম খন্দকার বলেন, প্রায় দশ মাস হল মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমার মেয়ে জীবিত আছে না মেরে ফেলছে তার কিছুই বলতে পারছি না। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি খুব দ্রুত যেন আমার মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহরিয়ার নাফিজের বাবা শফিকুল ইসলাম রাজুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, অপহরিত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খুব দ্রুত উদ্ধার করতে পারব। বারবার স্থান পরিবর্তন করাই সময় লাগছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মাহমুদুন্নবী বলেন,গত দুই মাস হল এই থানায় যোগদান করেছি। মামলার বিষয়টি জেনেছি।