স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের ঠিক আগে অন্যতম স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। মূলত প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই রাখা হয় এই সিরিজকে।
কিন্তু শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই তারা হেরে গিয়েছে ৬ উইকেটে। যেটি দেশের ক্রিকট সমর্থকদের জন্য বড় ধাক্কা। এমন হারে হতাশ প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বুধবার মিরপুরে তিনি এসেছিলেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের কার্যক্রমে। এরপরই সাংবাদিকদের হতাশার কথা জানিয়েছেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো হারই কষ্টের ব্যাপার এবং এখানে আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই আমরা যাচ্ছি। নিশ্চয়ই এটা হতাশার, এখানে কোনো সন্দেহ নেই। একটা দুটা বিচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের থেকে দল হারলেও যদি দলগত পারফরম্যান্স ভালো হয়, প্রতিটা বিভাগে যেটা আশা করা হচ্ছিল, সেটা হচ্ছে না। আমার মনে হয় দুশ্চিন্তার কারণটা একটু বেশি। ’
মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এইচপির কার্যক্রম। জাতীয় দলের ঠিক আগের ধাপ মনে করা হয় এটিকে। এবার এইচপিতে রাখা হয়েছে তিনজন লেগ স্পিনার। এর বাইরেও সব পর্যায় থেকেই ক্রিকেটার তুলে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘এটা তো একটা লার্নিং প্রসেস। এখান থেকেই তারা (তিন লেগ স্পিনার) পরিশোধিত হয়ে ক্রমেই ওপরের দিকে উঠবে। যারা প্রথম এসেছে তাদের কারও কারও এক বছরেই নাও হতে পারে। আরও বেশিও লাগতে পারে। কেউ যদি প্রতিশ্রুতিশীল হয়, প্রতিভাবান হয়। তার বয়স যদি অনুকুলে থাকে তাহলে আরও বেশি সময় রেখে কাজ করা যেতে পারে। আমাদের রিশাদ বেশ কয়েক বছর এইচপিতে ছিল। অনেকে এখানে ৩-৪ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে টাইগার্সে চলে গেছে, কেউ জাতীয় দলে গেছে। তো আমাদের নজর থাকবে। যেহেতু এই জায়গায় (লেগ স্পিন) আমাদের দুর্বলতা আছে। আমাদের দুর্বলতা অনেক জায়গায়ই। ’
‘কালকের ম্যাচ হয়তো সবাই-ই দেখেছেন। দল হিসেবে প্রতিটা বিভাগ যেন শক্তিশালী হয়, সব দিকেই নজর দেওয়া হবে। আমরাও কাছাকাছি থেকে পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের হান্নান সরকার ডেডিকেটেডলি থাকবে এইচপির সঙ্গে। আমরাও সময়ে সময়ে ঢাকার বাইরে যাব। কাছ থেকে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে। ’