সালেহ আহমদ (স’লিপক): মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীর অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে (৭ ও ৮ অক্টোবর) দু’দিনব্যাপী স্কুল ডে উদযাপনের সমাপ্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ১ম দিনের অংশ হিসেবে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার উদ্বোধন এবং ২য় দিনের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশনা ও এসএসসি কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মইনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী আনজুম মৌনতা ও মেহজাবিনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজার সহকারী প্রকৌশলী শামিম আহমদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মুহিব, সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, রেডিও পল্লীকন্ঠের সিনিয়র ষ্টেশন ম্যানেজার মেহেদী হাসান।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, তাদের অংশগ্রহণে নাচ-গান পরিবেশনা ও এসএসসি কৃতিশিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা।
পিঠা ঘর, বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, বইপড়া ক্লাব ও সক্রিয় নাগরিক ক্লাবের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত পরিবেশ উন্নয়ন, সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রভৃতি প্রকল্প ঘুরে দেখেন। প্রকল্পের বিভিন বিষয়ে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন। পরে জেলা প্রশাসক ফিতা কেঁটে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়ক হয়। শিক্ষার্থীরা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশ নিলে তাদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক বিকাশ ঘটে। তারা বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে শিখে। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। উন্নত বাংলাদেশ গঁড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক ও স্বনির্ভর করে গঁড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।