https://www.a1news24.com
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৪১

মেহেরপুর পৌর বিএনপি’র নেতার বাড়িতে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুর

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে পৌর বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনার বাড়িতে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রিপনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মনিরুল ইসলাম মনার পরিবারের সদস্যদের। বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণেই এ হামলা বলে দাবি করেছেন মনার পিতা শফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টা ও রাত ৯ টার দিকে দুই দফায় মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মূখার্জী পাড়ায় অবস্থিত পৌর বিএনপি নেতা মনার বাড়ীতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভীত সন্ত্রস্ত মনার মা ও স্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দফায় সাত আট জন লোক এসে এটা বিএনপি নেতা মনার বাড়ি কি না জিজ্ঞাসা করে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিতে যাই। এ সময় তারা মনার পিতা শফির সাথে ধাক্কাধাক্কি করে চলে গেছিলো। পরে রাত ৯ টার দিকে দ্বিতীয় দফা হামলার সময় অর্ধশতাধিক লোক এসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এসেই তারা মনার মায়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। হামলাকালে তারা স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা ঘর থেকে নিয়ে গেছে। হামলাকারীদের অনেকেরই মুখ বাধা ছিল। তবে আমরা নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের ভাই আহমদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রিপন (৫০) কে চিনতে পেরেছি। অন্যদের মুখ বাধা ছিল বলে সকলের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, ‘আমি হামলাস্থল পরিদর্শন করেছি, থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক-৩ ফয়েজ আহমেদের মোবাইলে কল দিলে ফোন ধরেন তার স্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন ফয়েজ আহমেদ ঘুমিয়ে পড়েছেন। গভীর রাতে ফোন দেয়াতে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে যদি এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে অতি নিন্দনীয় কাজ। আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে মেহেরপুর সদর থানায় গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস আই মোমিন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গেছে, তারা এখনো ফিরে আসেনি। এছাড়াও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, ভুক্তভোগী পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। হয়তো রাতের কোন এক সময় ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পারে।

আরো..