অনলাইন ডেস্ক: ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ চলছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি- ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলেও মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
স্থানীয় সময় শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অ্যান আরবর স্টেডিয়ামে বসেছিল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন শিক্ষার্থী মাথায় ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ আর স্নাতক টুপি পরে মঞ্চের সামনে দিয়ে হেঁটে যান। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। এ সময় দর্শকেরা উল্লাস করে বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ দেন।
ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি এবং অনুষ্ঠানেরও কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র কলিন ম্যাসটনি এসব তথ্য জানান।
এক বিবৃতিতে কলিন বলেন, আগেও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।
তবে শনিবার চার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে।