নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেখানে অনেক ‘বহিঃশক্তি’ জড়ো হলেও বাংলাদেশ সেখানে নাক গলাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তারিক সিদ্দিক বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি আপনারা জানেন। এটার খারাপের দিকেই যাচ্ছে আস্তে আস্তে। অনেক বহিঃশক্তি হয়তো ওখানে এখন ইনভলব হয়ে যাচ্ছে।
‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে, সব জায়গায় সবাই গিয়ে নাক গলাতে চায়। আমরা ওই ব্যাপারে নাক গলাতে মোটেও চাই না,’ যোগ করেন তিনি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই যে, আমাদের জনগণ যারা আছে, তারা যেনো শান্তিতে থাকেন এবং রোহিঙ্গা যারা আছেন তাদের নিরাপত্তার জন্যই যেনো বেশি সজাগ থাকি।
মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সেখানকার বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই একের পর এক জায়গা হারাচ্ছে জান্তা সরকার বাহিনীগুলো।
বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলছে জান্তা বাহিনীর। এর প্রভাবে সম্প্রতি ওপার থেকে এসে পড়া গোলার আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকটি বাড়িতে গুলি এসে লাগে।
যুদ্ধে টিকতে না পেরে জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য, সেনা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরে দুই দেশের সরকারের আলোচনার ভিত্তিতে তাদের নিজ দেশে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার।
তারিক সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে, আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো, আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না। এজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক।
সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা হত্যাকাণ্ড নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত কিছু না, এটি দুর্ঘটনা। এতে দুইপক্ষেরই দোষ থাকে।
এদিকে দেশে একের পর এক আগুনের ঘটনা ‘উড়িয়ে দেওয়া যায় না’ বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উড়ায়ে দেয়া যায়। এতো কাকতালীয় ব্যাপার, এতো ফাটাফাট করে একটা পর একটা হয়ে যাবে।’
আর আগে সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনের দূরত্ব থাকলেও এখন তা নেই বলে মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেল। বলেন, আগে আর্মিদের সঙ্গে সিভিলদের অনেক ফারাক ছিলো। আমাদের এখন নেই।