উর্দুভাষীদের নেতা ও নিরীহ ক্যাম্পবাসীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিহারি ক্যাম্পকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিহারি সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএম এর নেতারা। বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে বিহারি নেতা, ক্যাম্পবাসী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার হত্যা মামলায় নাম জড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
এসময় আয়োজক সংগঠন উর্দু স্পীকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু বলেন, সাদাকাত খান ফাক্কু ও আমরাসহ হাজার হাজার উর্দুভাষীরা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময় মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে সাদাকাত খান ফাক্কু এই ১৬ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জননেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্দেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আহছান উল্লাহ হাসানের নির্বাচনে আমরা বিহারিদের নিয়ে প্রতিটা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়েছিলাম। তখন বিএনপির নেতারা যা করতে পারেননি আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। সেটার জন্য স্বৈরাচার সরকার আমাদের ওপর মামলা দিয়েছিল। প্রতিটা মামলার চার্জশিটে সাদাকাত খান ফাক্কু ও তার ছেলের নাম দেয়া হয়েছে। আমাদের অফিসে তালা দেয়া হয়েছিল। পালাবদলের পর আমাদের ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি করা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলের মতো বিহারি ক্যাম্পকেও একটি মহল অশান্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা জানে এরকম মিথ্যা মামলায় দুই একজন বিহারি নেতা গ্রেপ্তার হলে মিরপুর অশান্ত হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকাকে দৃষ্টি দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, আমি, আমার ছেলেকে, আমার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লবী থানার বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত ২৫ জন বিহারির নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। বেনারসি পল্লীর ব্যবসায়ীদেরও চাঁদা আদায়ের উদ্যোশ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। এই মামলা থেকে সকল বিহারি ও বেনারসি পল্লীর মালিকদের নাম প্রত্যাহারসহ দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। ৩ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা নাহলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব।
তিনি বলেন, যারা মামলাগুলো করাচ্ছেন তাদের মনে রাখতে হবে ঢাকা ১৬ আসনে ১ লাখের বেশি বিহারিদের বসবাস। এই মামলা যারা করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই ভোটাররা সেই দলের সাথে থাকবে ন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউএসপিওয়াইআরএম এর সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ খান বিরেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল প্রমুখ।