আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ তিন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। মালোয়শিয়ার কেএম ১৭ জালান পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় মালয় মেইল।
জানা যায়, নিহতরা একটি গহনার দোকানে ভাঙচুরের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন এবং তারা ‘সেন্ট্রো গ্যাং’ এর সদস্য বলে মনে করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ৪ মিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১১ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটা এই বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিনজনের মধ্যে এক বাংলাদেশি এবং দুইজন ভিয়েতনামের নাগরিক বলে জানা যায়। তাদেরকে একটি প্রোটন ওয়াজা গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশি নাগরিকের বয়স ৩৮ এবং ভিয়েতনামের দুই নাগরিকের মধ্যে একজনের ৩৬ এবং অপরজনের ৪৪ বলে জানায় পুলিশ। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পাহাং কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে (আইপিকে) এক সংবাদ সম্মেলনে পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহায়া ওথমান বলেন, পেকানের পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় গাড়িটির গতিবিধি দেখে সন্দেহজনক মনে হয় সেলাঙ্গর এবং পাহাং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দলের।
পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর নির্দেশ দিলেও সেটি জালান পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসের দিকে দ্রুত গতিতে চলে যায় বলে জানান তিনি।
পাহাং পুলিশ প্রধান জানান, ‘সন্দেহভাজনরা দ্রুতগতিতে পালিয়ে যেতে চাইলে তাদের ধাওয়া করা হয় এবং তাদের ওয়াজা গাড়ি পুলিশের টহল গাড়ির পিছনে ধাক্কা দেওয়ার পর থেমে যায়। পুলিশ সদস্যরা গাড়িটি দেখতে গেলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। গাড়িতে থাকা তিনজনকে হত্যা করা হয় এবং গাড়িতে তল্লাশি করে সাতটি গুলি ও তিনটি গুলির খাপসহ একটি গ্লক ১৭ পিস্তল পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, গাড়িতে পুলিশ ড্রিল, গ্রাইন্ডার, ম্যাচেটস এবং লোহার হাতুড়িসহ বেশকিছু জিনিস খুঁজে পায়, যেগুলো সন্দেহভাজন বাংলাদেশির।
সন্দেহভাজন দুই ভিয়েতনামির পাসপোর্ট ছিল এবং তারা ভিজিটর হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিল। তবে পুলিশ এখনও সন্দেহভাজন বাংলাদেশি সম্পর্কে খোঁজ-খবর করছে বলে জানান দাতুক সেরি ইয়াহায়া ওথমান। তিনি বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।