খেলাধুলা ডেস্ক: ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে মেয়াদ বাড়াতে চাইলে এখন দায়িত্বে থাকা রাহুল দ্রাবিড়কেও নতুন করে আবেদন করতে হবে, কদিন আগে এমন বলেছিলেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। তবে এ পদে থাকার আর কোনো ইচ্ছা নেই দ্রাবিড়ের। এক প্রতিবেদনে এমন জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। এদিকে পরবর্তী প্রধান কোচ হিসেবে আলোচনায় আসছে চেন্নাই সুপার কিংসের দায়িত্বে থাকা স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নাম। যদিও নিশ্চিত নয় কিছুই।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল দ্রাবিড়ের। এরপর তিনি থাকবেন কি না, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হন দ্রাবিড়। এ দফা চুক্তির মেয়াদ আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ হবে। গত সোমবার প্রধান কোচের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বিসিসিআই। আবেদন করা যাবে ২৭ মে পর্যন্ত। রোহিত শর্মাদের পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে প্রতিবেদন আসছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
তবে সে ব্যক্তি যে দ্রাবিড় হচ্ছেন না, দ্য হিন্দু জানিয়েছে এমন। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারটি তিনি আগেই বিসিসিআইকে জানিয়ে রেখেছেন। সেটি নাকি মার্চে আইপিএল শুরুর আগেই। এ ব্যাপারে যাঁরা জানতেন, তাঁদের কাছে জয় শাহর ওই মন্তব্য তাই বিস্ময় হয়েই এসেছে।
দ্য হিন্দু বলছে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর মেয়াদ বাড়াতে রাজি হলেও আগামী মাসে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর থাকতে চান না দ্রাবিড়। এর পেছনে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করেছেন সাবেক এ অধিনায়ক। অন্তত টেস্ট দলের দায়িত্বে আরও বছরখানেক থাকতে নাকি তাঁকে দলের কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু দ্রাবিড় সিদ্ধান্ত বদলাবেন না।
অবশ্য সে অনুরোধ দ্রাবিড় রাখলে বিসিসিআই সীমিত ওভার ও দীর্ঘ সংস্করণের জন্য আলাদা কোচের কথা বিবেচনা করত। যদিও জয় গত সপ্তাহে বলেছেন, তিন সংস্করণে একজন কোচকেই চায় বিসিসিআই। তাঁর মেয়াদ হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ৫০ ওভারের পরবর্তী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ভারত, যারা অপরাজিত থেকে গিয়েছিল শেষ ম্যাচে।
এদিকে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষণের নামও আসছে দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হিসেবে। তবে দ্য হিন্দুর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, লক্ষণও এ দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন। ফলে বিসিসিআইকে শেষ পর্যন্ত বিদেশি কোনো কোচ নিয়োগ দিতে হতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় আছেন ফ্লেমিং। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এখন চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ। তবে দ্য হিন্দু বলছে, এখন পর্যন্ত আইপিএলের কোনো দলের কোনো কোচ আগ্রহ দেখাননি।
ভারত জাতীয় দলের সবশেষ বিদেশি কোচ ছিলেন জিম্বাবুয়ের ডানকান ফ্লেচার। এরপর পূর্ণ মেয়াদে এ দায়িত্ব পালন করেন রবি শাস্ত্রী, অনিল কুম্বলে। কুম্বলের সরে যাওয়াটা অবশ্য ছিল বিতর্কিত।
এর আগে ভারতের বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় একাডেমির দায়িত্ব পালন করা দ্রাবিড় জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন ২০২১ সালের নভেম্বরে। সে সময় বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দ্রাবিড়ের সাবেক অধিনায়ক ও সতীর্থ সৌরভ গাঙ্গুলি।