স্পোর্টস ডেস্ক: বিসিবি নির্বাচনের আগে যে নাটকীয়তা ছিল, সেটার নতুন পর্ব দেখা গেছে নির্বাচনের পরেও। গত সোমবারের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায় সরাসরি মনোনীত হয়েছিলেন দুই পরিচালক। সেই দুই পরিচালকের একজন ছিলেন ব্যবসায়ী ইসফাক আহসান।
ইসফাক এনএসসি কর্তৃক বিসিবি পরিচালক মনোনীত হতেই সমালোচনা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন ইসফাক- এ নিয়ে সমালোচনার মাত্রা কমেই তীব্র হতে থাকে। এ কারণে ২৪ ঘণ্টার আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এনএসসি। ইসফাকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় ক্রীড়া পরিষদ। তাঁর জায়গায় এনএসসির মনোনয়ন পেয়ে বিসিবি পরিচালক হতে যাচ্ছেন রুবাবা দৌলা।
করপোরেট ব্যক্তিত্ব রুবাবা দৌলা ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও পরিচিত। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকল বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।
এর মধ্যে গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন ১১ বছর (১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত)। ওই সময়কালে জাতীয় দলের স্পনসর হিসেবে যুক্ত হয় গ্রামীণফোন। জাতীয় দলের স্পনসর হিসেবে গ্রামীণফোন ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিল।
শুধু করপোরেট দুনিয়া নয়, খেলাধুলার সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন রুবাবা। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রুবাবা। পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য ছিলেন তিনি।