এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট“সুন্দরবন আমাদের মা — মাকে আমরা ক্ষতি করব না।”এই প্রতিজ্ঞা শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি উপকূলবাসীর জীবন রক্ষার বাস্তবতা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণপ্রবাহ সুন্দরবন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঢাল হয়ে রক্ষা করে চলেছে উপকূলবাসীকে।
🌪️ ইতিহাস বলছে:
ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে দেখা যায়, ১৫৮২ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮৭টি প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের কারণে উপকূলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারেনি।
সিডর, আইলা, আম্পান, মহাসেন, বুলবুল, রেমাল – নাম করা সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়গুলোর ধ্বংসাত্মক আঘাত থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এই ম্যানগ্রোভ বন।
বিশেষ করে ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এবং ২০২৪ সালের ‘রেমাল’-এর সময়ে সুন্দরবন পুরো ঝড় নিজের বুক দিয়ে রুখে দিয়েছে। যদি এই বন না থাকত, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় কোটি কোটি মানুষের জীবন ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত।
🌿 অথচ আমরা কী করছি সুন্দরবনের সঙ্গে?
গাছ কেটে বন উজাড় করা
বিষ দিয়ে মাছ শিকার
হরিণ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার হত্যা
চিংড়ি ঘেরের নামে বন দখল
এই অমানবিক কর্মকাণ্ড সুন্দরবনের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে।
📢 আহ্বান:
আমরা যেন আজ একত্রিত হই একটি প্রতিজ্ঞায়—
“সুন্দরবন আমাদের মা, মাকে মরতে দেব না।”
এই বন কেবল বন নয়, এটি উপকূলের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ঢাল। আমাদের দায়িত্ব এটিকে রক্ষা করা।