অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সামরিক বিমানযোগে গাজায় খাদ্য সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (১ মার্চ) সাহায্যের জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনার একদিন পর, গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
বাইডেন বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন বিমান সহায়তা নিয়ে উপস্থিত হবে। তবে এ ব্যাপারে আর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি তিনি। জর্ডান এবং ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশগুলো ইতিমধ্যে গাজায় বিমানযোগে সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে।
গাজায় পাঠানো সাহায্যের পরিমাণ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের আরও কিছু করতে হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা করবে।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সহায়তাগুলো একটি ‘টিকে থাকার প্রচেষ্টা’ হবে। প্রথম সহায়তা সম্ভবত ‘মিল-রেডি টু ইট’ (এমআরই) বা ‘খাবার জন্য প্রস্তুত’- এমন হবে। এমন সহায়তা চলবে। একবার করলাম আর শেষ হয়ে গেল- এমন হবে না।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সামুদ্রিক রুটেরও খোঁজ করছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গাজার সমগ্র মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটে রয়েছে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।’ এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ মানুষ তাদের খাদ্যের যোগান ও ক্ষুধা মোকাবিলার সক্ষমতার শেষ পর্যায়ে। তারা বিপর্যয়কর ক্ষুধা (আইপিসি ফেজ ৫) ও অনাহারের মুখোমুখি।
জেনেভায় ওসিএইচএর মুখপাত্র জেনস লায়েরকে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কারণে গাজায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ত্রাণবাহী গাড়ি বহর হামলার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা পরিকল্পিতভাবে যাদের ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন তাদের কাছে সেগুলো পাঠাতে বাধা দিচ্ছে। মানবিক কর্মীদের হয়রানি, ভয়-ভীতি ও আটক করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এরকম সহায়তা গাজার দুর্ভোগের উপর সীমিত প্রভাব ফেলবে। মূল কারণের সমাধান ছাড়া এই দর্ভোগ কমবে না। শুধুমাত্র স্থল সীমানা খুলে দিলেই সমস্যাটি আপাতত মোকাবেলা করা সম্ভব।