https://www.a1news24.com
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:০৮

বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে এআই টুল ব্যবহার করছে রাশিয়া-চীন, ইসরায়েল ও ইরান

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে এআই টুল (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করছে রাশিয়া, চীন, ইসরায়েল ও ইরান। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রকাশিত ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও ইউনিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রভাব বিস্তারের জন্য এআই টুলগুলো গোপনীয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই কোম্পানি জানিয়েছে, এই চার দেশ থেকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে।

দুষ্কৃতকারীরা ওপেনএআইয়ের জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মজুড়ে ভুয়া প্রচারের জন্য কনটেন্ট তৈরি ও এগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে ব্যবহার করছে। তবে এগুলো এখনও খুব বেশি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়নি।

বিষয়টি নিয়ে গবেষক এবং আইন প্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোম্পানিগুলো এসব উদ্বেগ দূর করতে প্রযুক্তিতে বিভিন্ন সুরক্ষাব্যবস্থা যুক্ত করার চেষ্টা করছে।

ওপেনএআইয়ের প্রতিবেদনটি ৩৯ পৃষ্ঠার। গত তিন মাসে পাঁচটি প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছেন কোম্পানিটির গবেষকেরা। এসব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে ওপেনএআই। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এসব দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

রাশিয়ার দুটি কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে ওপেনএআই। এর মধ্যে একটি হলো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও বেশ কয়েকটি বাল্টিক দেশের সমালোচনা করে কনটেন্ট তৈরি করে এবং ছড়িয়ে দেয়। আরেকটি ক্ষেত্রে কোডের ত্রুটি দূর করার জন্য ও টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি বট তৈরি করতে ওপেনএআইয়ের এআই মডেল ব্যবহার করে রাশিয়া।

এদিকে চীন এআই টুল ব্যবহার করে ইংরেজি, চায়নিজ, জাপানিজ এবং কোরিয়ার ভাষায় টেক্সট তৈরি করে। এরপর সেগুলো এক্স (সাবেক টুইটার) ও অন্য প্ল্যাটফর্ম ছড়িয়ে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে পুরো ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করেন ইরানিরা। এরপর সেগুলো ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করে।

ইসরায়েলি কোম্পানি ‘স্টোয়িক’ এসব প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রমাণ পেয়েছে ওপেনএআই। এই কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ছড়ায়। যেমন-গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন ছাত্রদের বিক্ষোভকে ইহুদিবিরোধী বলে পোস্ট করে। ওপেনএআইয়ের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ইতোমধ্যেই গবেষক ও কর্তৃপক্ষ জানতেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কার্যক্রমে কিছু মাত্রায় এআই ব্যবহার করে, কিন্তু কেউই এটি একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেনি। এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট ছাড়াও অনেক ধরনের কনটেন্ট এসব প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন-কোনো ব্যক্তির লেখা টেক্সট বা ইন্টারনেট থেকে কপি মিম।’

প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়াকলাপের নিয়ে অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ওপেনএআইয়ের। সেই সঙ্গে কোম্পানির নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

আরো..