একদিকে যিনা-ব্যভিচারকে আইনানুগ স্বাধীনতা দিয়ে, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও পর্দাহীনতাকে উৎসাহিত করে অপরদিকে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়। প্রচলিত আইনে ধর্ষণের শাস্তি যেমন সহজতর, তেমনি তার প্রয়োগ সবচেয়ে ধীরগতির। তাই প্রকাশ্য শাস্তি ও দ্রুত প্রয়োগের পাশাপাশি কুরআনি বিধান বাস্তবায়ন ছাড়া ধর্ষণের এই বিভৎসতার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না।
আজ ১০ মার্চ (৯ রমযান) সোমবার বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কর্তৃক “দ্রুত সময়ে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবী এবং পুরুষকে অদম্য নারীর পুরস্কার দিয়ে নারী অবমাননার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা উপর্যুক্ত কথা বলেন।
তাঁরা আরও বলেন, দেশে নারীসমাজের নিরাপত্তা নিয়ে আজ সচেতন মহল মাত্রই উদ্বিগ্ন। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা অতীতেও দেখিনি, বর্তমানেও অনুপস্থিত। অথচ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক যিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং তা প্রকাশ্যে দ্রুত কার্যকর করলে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা মূহুর্তেই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, গত ০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য মুহিন (মোহনা) কে ‘অদম্য নারী পুরস্কার দেয়া হয়েছে। যিনি জন্মগতভাবে একজন পুরুষ ও রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেকে নারী দাবী করেন। অথচ দেশে হাজারো নারী সামাজিক, পারিবারিক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। একজন রূপান্তরকামীকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি নারীকে অসম্মান করা হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, জেন্ডার সমতার নামে দেশে যে সমাজ ও ধর্মবিদ্বেষী মতবাদকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, তার পরিনাম ভালো হবে না। একজন ট্রান্সজেন্ডার কে নারী পুরস্কার দিয়ে সরকার এদেশের ধর্মপ্রাণ মানেষের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজীর মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়জী, মুফতি মোস্তফা কামাল, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামালুদ্দীন সিরাজ, মুফতি ওমর ফারুক ইবরাহীমি, মুফতি আবদুল আজীজ কাসেমী, মুফতি শাহজাহান আল হাবীবী, মুফতি ফরিদুল ইসলাম প্রমূখ