https://www.a1news24.com
১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৯

বিএনপি নেতারা সত্যিকারে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে পারে কি না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতারা সত্যিকারে ভারতীয় পণ্য বর্জন করছেন কি না জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা তাদের বউদের কাছ থেকে কেন (ভারতীয়) শাড়িগুলো এনে পুড়িয়ে দিচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে আগুন দিচ্ছে যে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবেন না। এরপর আবার দেখা গেলে কিছু চাদর কিনে এনে পোড়ানো হলো। আচ্ছা শীতকাল তো চলে গেছে এখন আর চাদর পোড়ালে কি আসে যায়?

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করছেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে। তাহলে বউদের কাছ থেকে কেন শাড়িগুলো এনে পুড়িয়ে দিচ্ছে না। আপনারা সবাই একটু বিএনপি নেতাদের এ কথাটা জিজ্ঞেস করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব, যারা যারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন সবাই বাড়িতে গিয়ে তাদের বউরা যেন কোনো মতে কোনো ভারতীয় শাড়ি না পরে; আলমারিতে যে কয়টা শাড়ি আছে সব এনে যেদিন ওই অফিসের সামনে পোড়াবেন সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যিকারে ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।

বিএনপি নেতারা কি ভারতীয় মসলা ব্যবহার বন্ধ করতে পারবেন এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে গরম মসলা, পেঁয়াজ, ভারত থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি, রসুন-আদা, মিজোরাম থেকে আমরা আদা আনি, মসলাপাতি, আধা ভারত থেকে যা কিছু আসছে তাদের কারও পাকের ঘরে যেন এ ভারতীয় মসলা দেখা না যায় । তাদের মসলা ছাড়া রান্না করে খেতে হবে। এটা তারা খেতে পারবেন কি না সেই জবাবটা তাদের দিতে হবে।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা রং-ঢং করতে ওস্তাদ, এটা আমরা আগেও দেখেছি। বাস্তব কথা হলো আপনারা সত্যিকারের পণ্যগুলো বর্জন করছে কি না সেটাই আমরা জানতে চাই। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের পেলে তাদের বউদের শাড়ির কথা আর মসলার কথা বলবেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালিয়েছিলেন বলে বিএনপির এক নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে?

সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা না কি পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আজকে যে দলটি বড় বড় কথা বলছে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল, তাহলে যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন করা হলো, সেক্টর ভাগ করা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জিয়াউর রহমান ছিলো একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী। জিয়াউর রহমান যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো এই প্রমোশনটা কে দিল? আওয়ামী লীগ দিয়েছে৷

শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কোথায় ছিলেন? সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা যে বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়, সে হামলাকারীদের একজন জিয়াউর রহমানও। সেটা চট্টগ্রামে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যিনি। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকে সময় দেওয়া হয়নি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা না করে উল্টো বিরোধিতা করা হয়েছিল। যারা এখন দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না তারাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করেছিল।

আরো..