বান্দরবান প্রতিবেদক: বান্দরবানের তিন উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলাকালে ওইসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে যেকোনো ধরনের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও অর্থ লুটের ঘটনায় বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী এ অভিযান চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে বা চলবে, ওইসব এলাকার সব পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এদিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যটক গাইড, পরিবহন মালিক ও হোটেল-মোটেল মালিক সমিতিকেও এ বিষয়ে নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে রুমা উপজেলার পর্যটন এলাকাসমূহে যে কোনো ধরনের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হলো। ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের চারটি বিষয় মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ২৪ বছরেও ভূমি জরিপ ও আদমশুমারি হয়নি। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সই করা নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে কোনো হোটেল-মোটেলে পর্যটককে কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনো ট্যুরিস্ট গাইড পর্যটকদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবে না। কোনো জিপ গাড়ি পর্যটকদের পর্যটক কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবে না এবং নৌপথে কোনো পর্যটকদের পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।