নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়াড মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সেবন করে স্বাধীন শেখ নামের সাড়ে তিন বছর বডসী এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গেল বুধবার (১৫ মে) দুপুরে শিশু স্বাধীন শেখকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেন বাবা-মা। তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া তাসনিম মুনমুন ।
অসুস্থ্য স্বাধীন শেখ কচয়া উপজেলার বাধাল গ্রামের লিটন শেখের ছেলে।পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার সাংদিয়া বাজারের সাথী ফার্মেসী থেকে রেনসিড নামের একটি গ্যাসের সিরাপ ক্রড করে বাচ্চাকে খাওয়ালে, সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীডদের পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে আসা হড শিশুটিকে।
সিরাপটির বোতল ও মোড়ক পর্যালোচনাড দেখা যায়, রেমেক্স ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) বাংলাদেশের তৈরি সিরাপটি। সিরাপটির উৎপাদন তারিখ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কথা হলে ওই শিশুর বাবা বাবা লিটন শেখ বলেন, স্বাধীন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সাংদিয়া বাজারের সাথী ফার্মেসী থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টাড একটি গ্যাসের ঔষধ ক্রড করি। ঔষধটি খাওয়ার পরে আমার বাচ্চা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। আমি ফার্মেসীর মালিক সমীর দাসকে জানালে তিনি বলেন টাকা ফেরত নিয়ে যাও। এতে কিছু হবে না।শিশুটির মা সাথী বেগম বলেন, ঔষধ খাওয়ার পরে বাচ্চার গায়ে জ্বর উঠে যাড। খুব অসুস্থ্য পড়লে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখনও আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। আমার বাচ্চাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়ার বিচার চাই।
এদিকে ঔষধ বিক্রেতা সাথী ফার্মেসীর মালিক সমীর দাস বলেন, আমি একটি এ্যান্টাসিড ঔষধ বিক্রি করেছি। কিন্তু মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির কথা বলে, আমাকে হডরানির চেষ্টা করছে স্থানীড কিছু ব্যক্তি।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাদিয়া তাসনিম মুনমুন জানান, শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে। শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে বাচ্চাদের ঔষধ সেবনের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ জানান তিনি।