অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় কমনওয়েলথ। মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন সংস্থাটির সহকারী মহাসচিব ও প্রতিনিধি দলের প্রধান অধ্যাপক লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেসিস।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কমনওয়েলথ বৈধতা দিয়েছিল, বর্তমানে তাদের অবস্থান কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লুইস গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘খুব ভালো প্রশ্ন, আপনারা জানেন কমনওয়েলথ ২০১৪ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল। আমরা পরিষ্কারভাবে মতামত দিয়েছি। আমরা ১৮ ও ২৩ সালের নির্বাচনে আসিনি। একটি ছোট দল গত নির্বাচনে এসেছিল। আমরা সর্বদা কোনো দেশে আসি শিখতে, শুনতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা মোতাবেক সহায়তা করে থাকি। আমরা রিকমন্ডেশন করি এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করি। আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে কমিশনের সঙ্গে। আমাদের একটি চমৎকার দল এখানে এসেছে রিফর্মের জন্য এবং রিফর্ম বাস্তবায়ন হলে কমনওয়েলথের জন্য বাংলাদেশ হবে একটি সফল গল্প।’
তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ রয়েছে, যাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে। তারা সর্বদা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে করি, এটা একটা শিক্ষা হতে পারে। আমরা অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সহায়তা করতে পারি এবং বাংলাদেশও অন্য দেশকে একইভাবে সহায়তা করতে পারে। আমি মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনই হচ্ছে লক্ষ্য, যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে।’
সুনির্দিষ্ট রিকমেন্ডেশন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এটা আসবে সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য আসিনি। আমরা শিক্ষা নেয়ার জন্য আসি এবং ৫৬টি দেশকে সহায়তা করি।’
এ সময় সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কমনওয়েলথ প্রতিনিধি আলাপ করতে এসেছেন। উনারা আমাদের সহায়তা করতে আগ্রহী। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। উনাদের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে মতামত আদান-প্রদান হয়েছে। উনারা চাচ্ছেন আমাদের দেশে একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এবং এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে উনারা সহায়তা করতে চান। এই আগ্রহ ও উদ্দেশ্য নিয়ে উনারা এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি চাই উনারা সহায়তা করবেন। কোনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে তারা আসেন নাই। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার জন্য আসেন নাই।’
এদিকে লুইস গাব্রিয়েল ফ্রান্সেসসি-এর নেতৃত্বে কমনওয়েলথের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।