স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। এর পেছনে অন্যতম কারণ ম্যাচ কম খেলা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বছরে ১০ থেকে ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা। এছাড়া দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলের লিগ পর্বে সর্বোচ্চ ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান একেকজন ক্রিকেটার। ফাইনালের দুই দলের খেলোয়াড়েরা খেলতে পারেন সর্বোচ্চ ১৪টি ম্যাচ।
এছাড়া বিপিএল যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের সব পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সুযোগও হয় না। সারা বছর আর কোনো ম্যাচ খেলা হয় না বলে অনেক ক্রিকেটারের বিপিএলে ছন্দে ফিরতে ফিরতেই চলে যায় ৪-৫টি ম্যাচ। এই কারণে ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তুষ্টিও আছে।
অথচ ভারতে আইপিএলের পাশাপাশি রয়েছে সৈয়দ মুশতাক আলী টুর্নামেন্ট, পাকিস্তানে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি। এসব টুর্নামেন্ট তাদের ক্রিকেট সূচিরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ বাংলাদেশে শুধুই বিপিএল!
তবে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজন করতে যাচ্ছে নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সিবির টুর্নামেন্ট কমিটি জাতীয় ক্রিকেট লিগের সঙ্গে প্রতিবছর এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী ৮ দল নিয়ে ২৯ ম্যাচের ‘জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি’ টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে ৭টি করে, দুই ফাইনালিস্ট দল পাবে আটটি করে ম্যাচ।
টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ম্যাচ ফি ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম জানিয়েছেন, ২১ মে কমিটির এক সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে প্রতিবছরের মতো এবারও অক্টোবরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসর জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া মৌসুম শুরু হবে। চার দিনের প্রতিযোগিতা শেষে শুরু হবে ২০ ওভারের জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি। রবিন লিগে ফিরে যাওয়া এবারের জাতীয় লিগে থাকবে না ২০১৫-১৬ মৌসুমে শুরু হওয়া দ্বিস্তর পদ্ধতি।