অনলাইন ডেস্ক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অনেক বাংলাদেশি অভিযোগ করেন। ভিসা পাওয়া নিয়ে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে বিক্ষোভও করেন অনেকে। এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ব্যতীত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়া হবে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।
গত আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ভারত। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চলতি সেপ্টেম্বর থেকে আবারও জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা শুরু করেছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায় ভিসা সেন্টার খুলেছে। তবে এখনই সবাইকে ভিসা দেয়া হবে না। শুধুমাত্র যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে ভিসা দেয়া হচ্ছে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ভিসা প্রদানের বিষয়টিও আগের মতো হয়ে যাবে। আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।