https://www.a1news24.com
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৫৭

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলনে কম্পন, ধস ও ফাটল, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সংবাদ সম্মেলন

রুকুনুজ্জামান পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পার্বতীপুরের হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরাপাড়ায় বড়পুকুরিয়া খনি কয়লা উত্তোলনের কারণে পাতরাপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি কম্পন, ধস ও ফেটে যাওয়ায় পাতরাপারা বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরাপাড়া বাজারে বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে পাতার গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের নারীপুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়লা খনি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ মনে করেছিল আমাদের পরিবর্তন হবে। কিন্তু খনি এখন আমাদের সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। শতশত বসতবাড়ি কম্পনের কারণে ফেটে যাচ্ছে। বাড়ির টিউবয়েলে কোন পানি উঠছে না, পাতরাপাড়া গ্রামের রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা, কৃত্রিম ভূমিকম্পনের কারণে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা দায় হয়েছে। সব পরিবারের আতংকে কাটে সময়। খনি মাইনিং জিএমকে বার বার এই এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তিনি আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেন না। আমরা এর প্রতিকার চাই ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, বাড়ি ঘরের ফাটল সংস্কার, রাস্তার সমস্য, পানির সমস্যা ও শিক্ষিতদেরকে কর্মসংস্থান দিতে হবে। আমাদের এই দাবি যৌক্তিক দাবি। বাড়িঘরগুলি কয়লা তোলার কারণে ফেটে যাচ্ছে, আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে তা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, চলাচলের জন্য রাস্তা রয়েছে, তা দ্রুত পুন:নির্মাণ করতে হবে। পূর্বের অধিগ্রহণকৃত মসজিদ কবরস্থানগুলোর বিষয়ে জায়গা অধিগ্রহণ করে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাতরাপাড়া গ্রামে বসবাসরত ১ হাজার ৫শ’ পরিবারের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

বড়পুকুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ হেলেনা রশিদ বলেন, স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগুলিতে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও চলাচল করা সম্ভব হয় না। বাচ্চা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই চলাচল করে। এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে। কয়লা উত্তোলনের ফলে রাস্তা গুলোর বেহাল অবস্থা।

পাতরাপাড়া গ্রামেন আব্দুর সালাম বলেন, আমরা এখান থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্সও এই গ্রামগুলিতে আসতে চায় না। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি।

পাতরা পাড়ার মর্জিনা আক্তার জানান, নলকূপে পানি উঠছে না, এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, সমস্ত রাস্তা খনির কারণে মাটির নিচে তলিয়ে গেছে।

পাতারাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন বলেন, নেই কোন মসজিদ, নামাজ পড়ার ঈদগাহ মাঠ এবং ফুটবল খেলার মাঠসহ সব ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরো..