তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: দেশে কোভিড পরবর্তী কয়েক বছরে অনলাইননির্ভর কেনাকাটা বেড়েছে কয়েকগুণ। সংসারের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের কেনাকাটায় বেড়েছে অনলাইন নির্ভরতা। যাতে সাশ্রয় হয় সময়, বাঁচা যায় বাজারে যাওয়া বা দরদামের ঝক্কি থেকে। তবে সম্প্রতি ইন্টারনেট এবং ফেসবুক না থাকায় পু্রোপুরি বন্ধ রয়েছে ‘ই’ ও ‘এফ’ (ফেসবুক ভিত্তিক) ব্যবসা। এতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে সব ধরনের অনলাইন ব্যবসা।
গত ২৩ জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা এবং রোববার (২৮ জুলাই) মুঠোফোনে ফোর–জি ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক। এদিকে, অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাতের ব্যবসার প্রচারণা ফেসবুক নির্ভর হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ দুই খাতের কয়েক লাখ উদ্যোক্তা।
তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হতো ১০০ কোটি টাকার। সঙ্গে যুক্ত এফ কমার্সও। আর সরবরাহ হতো অন্তত ৮ লাখ অর্ডারের। দেশের সীমা ছাড়িয়ে যা সংযোগ বাড়িয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও। তবে কোটা ইস্যুতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ধস নেমেছে অনলাইন ব্যবসায়। সরবরাহ বন্ধ, পণ্যের স্তূপ জমেছে ওয়্যার হাউজগুলোয়।
এদিকে, পণ্যের যোগান আর বিপণনের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ এখন উদ্বিগ্ন, কাটাচ্ছেন অলস সময়। আসছে না অর্ডার, হচ্ছে না সরবরাহ। এতে চিন্তার ছাপ ব্যবসায়ীদের কপালেও, শঙ্কা লোকসানের।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স উদ্যোগ চালডাল ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ জানান, আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে ছয়–সাত হাজার অর্ডার পেয়ে থাকি। ইন্টারনেট না থাকার কারণে সেটা নেমে এসেছে দুই হাজারে, যা আমরা কল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রহণ করেছি।
ই-ক্যাবের হিসেবে, অনলাইন প্লাটফর্মে ভর করে ২০২৩ সালে ব্যবসা হয় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার। আরও ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা ছিল চলতি বছরে। মধ্যপ্রাচ্যের থমথমে যুদ্ধাবস্থা খানিকটা বাধা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। অন্যদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে নতুন ব্যবসা প্রসারের পরিবর্তে ব্যবসা ধরে রাখাই কঠিন হচ্ছে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।