এই সাত মাসে তের হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। তের হাজার শিশুর প্রতি শোক ও ভালোবাসা জানাতে ১৩ ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতিকৃতির সামনে ফুল ও শত আলো প্রজ্জলন করে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করা হয়েছে সিলেটে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সারদা হল কমপ্লেক্সের সম্মিলিত নাট্য পরিষদ মিলনায়তনে ইসরায়েলি মানবতাবিরোধী গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং আক্রমণাত্মক সকল পদক্ষেপ স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।
এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি), ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), এবং সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার যৌথভাবে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলনে স্থানীয় পরিবেশকর্মী, নাগরিক অধিকারকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, স্থানীয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্বলন শেষে গণসংগীত পরিবেশন করেন নগরনাট ও উদীচীর নেতৃবৃন্দ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভাসিটির ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল বলেন, ইসরায়েল সরকার গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই অমানবিক। এই জেনোসাইডে নারী শিশুসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সারা পৃথিবীর মানুষ প্রতিবাদ করছে এই হত্যাযজ্ঞ। বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই জেনোসাইডের প্রতিবাদ করছে। আমরা চাই অচিরে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক।
বাপা সিলেট শাখার সহসভাপতি ডা. শাহ জামান চৌধুরী বাহার বলেন, ফিলিস্তিনিতে এই ইসরালী আগ্রাসন বন্দ হোক। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
এই প্রতিবাদী কর্মসূচির আয়োজক সুরমা রিভার ওয়ারটারকিপার আব্দুল করিম চৌধুরী কিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় কমপক্ষে ৩৫,২৭২ জন নিহত এবং ৭৯.২০৫ জন আহত হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে গাজায় গণহত্যার সপ্তম মাসে ইসরায়েল রাফাতে স্থল আক্রমণ চালায় এবং প্রায় ছয় লক্ষ মানুষকে শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। এই যুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার শিশু নিহত হয়েছে । এই শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আমরা ১৩ ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল, বাপা সিলেট শাখার সহসভাপতি ডা. শাহ জামান চৌধুরী বাহার, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক নিরন্জন দে যাদু, সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, নাগরিক মৈত্রীর সমর বিজয় সী শেখর, , মানবাধিকার কর্মী লক্ষ্মী কান্ত সিংহ, সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান চোধুরী (ওয়েস), সেইভ দ্যা হেরিটেজ এন্ড ইনভারমেন্টের সমন্নয়ক কর্মী আব্দুল হাই আল হাদী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নখ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কৃষ্ণ বিশ্বাস ও পলিটিক্যাল ষ্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মাওলানা ড. মোহাম্মদ এমদাদুল হক, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, উদীচী সিলেটের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, উদীচী সিলেটের সহসভাপতি রতন দে, পরিবেশ কর্মী রেজাউল কিবরিয়া লিমন,, শিক্ষক নিরঞ্জন সরকার, নাট্যকর্মী নাহিদ পারভেজ বাবু, সাংস্কৃতিক সংগঠক অ্যাডভোকেট মনির হেলাল, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, নগরনাটের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী, নাট্যকর্মী অরূপ বাউল সাংস্কৃতিক কর্মী রাজনৈতিক রাজীব রাসেল, সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় ঊষার পরিচালক নিগাত সাদিয়া, অ্যাথলেট আফসানা হালিমা, সুমা আক্তার, মাহিয়া জান্নাত, জোনাকি প্রমুখ।