বিনোদন ডেস্ক: শোবিজে প্রায় চার দশকের ক্যারিয়ার। এরমধ্যে সংগীত নিয়ে বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ২৫ বছর। আর ১২ বছর বয়সে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। মাদার তেরেসাসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বলা হচ্ছে সংগীতশিল্পী শুভ্রদেবের কথা।
২০২৪ সালে একুশে পদকের জন্য নাম ঘোষণা করা হয়েছে নন্দিত এই গায়কের। সংগীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এ পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। তবে তার এই সম্মান অর্জনে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকেই। গীতিকার, সুরকার প্রিন্স মাহমুদ সরাসরি একুশে পদক ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন শুভ্রদেবকে। কিন্তু গায়ক শুভ্রদেব মনে করেন, তার এই পুরস্কার আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল।
শুভ্রদেব দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেন, সংগীত হচ্ছে গুরুমুখী বিদ্যা। এ নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে আমি যতটুকু দিয়েছি, ততটা খুব কম শিল্পীর কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। শুধু গান করলেই তো হয় না।
তিনি বলেন, আমি যদি বলি বাংলাদেশের কোন সংগীতশিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থিম সং করেছে―আপনি কারও নাম বলতে পারবেন না। আমি দেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে বলিউডের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে ইনভাইটেশন পেয়েছি। যা এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে হয়েছে। আবার মাত্র ১২ বছর বয়সে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। আসলে যারা আমার কাজ সম্পর্কে জানেন, তারা কিন্তু বলছেন এই পদক আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল আমার।
এছাড়া দীর্ঘ ৩৯ বছরের ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভ্রদেব বলেন, ২৫ বছর ধরে বিশ্ব দরবারে বাংলা গান পৌঁছানোর জন্য আমার যে চেষ্টা, সেটা কখনোই আমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য করিনি। আমার প্রয়াস ছিল আমাদের এই বাংলা গান যেন বিশ্ব দরবারে পৌঁছায়। সেটা অবশ্য কতটা পেরেছি তা বলতে পারছি না।
এদিকে এ গায়কের একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা আসার পর তাকে পদক ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রেখেছেন গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। এ ব্যাপারে শুভ্রদেব বলেন, প্রিন্স মাহমুদ কাজের দিক দিয়ে আমার থেকে অনেক ছোট। একটা সময় ছিল যখন সে গান নেয়ার জন্য আমার পল্লবীর বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতো।
শুভ্রদেব আরও বলেন, আমি সেসব বলতে চাই না। সে তো আমার লেভেলের কেউ না। আমরা তো তাদেরই গণ্য করব, যাদের বিশ্বসংগীতে কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। আর যারা সমালোচনা করছে তারা মূলত জেলাস থেকে করছে। ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না আমি।