নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ডিসি ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রবিউল ইসলাম জানান, মশিউরের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা হয়েছে। কোনটাতে গ্রেফতার দেখানো হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
ডিবি মশিউরকে সকলে জাল টাকা আবিষ্কারের কারিগর বলেই চিনতো। প্রতি বছর ঈদের সময় নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু লোককে ধরে এনে জাল টাকার নাটক সাজাতেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে প্রশ্ন করলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করতেন এই মশিউর।
সর্বশেষে গত জুলাই মাসে যাত্রাবাড়ীতে এক আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীর কাছে ছাত্র-জনতা অস্ত্র পায়। পরে লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অফ আইটির শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানকে ডিবি দিয়ে গত ২৫ জুলাই তার ডেমরার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মশিউর। পরে তাকে ডিবিতে আটকে রাখে ১ আগস্ট পর্যন্ত। এ নিয়ে তার বাবা ছেলের সন্ধান চাইতে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করতে যান। কিন্তু মশিউরের টিমের এডিডি লেলিন তার লোকজন দিয়ে মাসরুরের বাবা ও ভাইকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে থেকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তাদের তুলে নিয়ে যান। মাসরুর হাসান বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনায় ডিবির মশিউরকে সেই সময় বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কল করা হলে তিনি ঢাকা মেইলের প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আপনি যদি তাদের বক্তব্য লেখেন তা হবে জঙ্গিবাদের পক্ষে লেখা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেখা বক্তব্য। তিনি সেই সময় দাবি করেছিলেন, পুরো পরিবার জামায়াত। তারা সন্ত্রাসী পরিবার। কিন্তু এ নিয়ে খোঁজ নেওয়া হলে জানা যায়, পরিবারটি মশিউরের জুলুমের শিকার।
এখানেই শেষ নয়, মশিউর মাসরুরকে সাত দিন আটকে রাখার পর গণমাধ্যমকর্মীদের ফোন পেয়ে তাকে এবং তার বাবা, ভাই এবং মামাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় এবং আদালতে তোলে।