https://www.a1news24.com
৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:২৩

পাকিস্তানে ভোটের ফল ঘোষণা শুরু, নওয়াজ-ইমরানের মধ্যে লড়াইয়ের আভাস

অনলাইন ডেমস্ক: ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এগিয়ে আছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা। ওই সময় পর্যন্ত ডনে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ১২টি আসনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা ৫টি, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৪টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৩টি আসনে জয় পেয়েছে।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী।

তবে স্থানীয় টিভি চ্যানেল শুক্রবার জানিয়েছে, কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সঙ্গে যুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন। এ নির্বাচনে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসাবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

পাকিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ইমরানের দলের মনোনয়ন দেয়া ডজন খানেক অভিষিক্ত প্রার্থীও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ১২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র ৪৪টি আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে।

আরো..