https://www.a1news24.com
১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:১১

পঞ্চগড়ের সড়ক সংস্কার করছেন শিক্ষার্থীরা

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিশি: দীর্ঘ ১০ বছর ধরে খানা-খন্দ ও ভাঙাচুড়া সড়কের চিত্র পাল্টাতে এবং জনসাধারণের দূর্ভোগ কমাতে সড়ক সংস্কারে মাঠে নেমেছে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় ছাত্র সমাজ। নিজ অর্থায়নে ইটের খোয়া ভ্যানে করে এনে খানা-খন্দ ও ভাঙ্গা সড়কে দিয়ে গর্ত পুরণ করছেন তারা।
রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পৌরসভার কায়েতপাড়া এলাকায় উপজেলা পরিষদ গেট থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার সড়কে ইটের খোয়া ফেলে সড়কটি সংস্কার শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও কাজ শুরু করবেন বলে জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচলরত মানুষের দূর্ভোগ কমাতে সংস্কারে নিজ উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে তারা। এতে করে রাস্তা সংস্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই।
জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে দুর্নীতির কবলে পড়ে অসংস্কার হওয়া বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাকে নতুন ভাবে সাজাতে তারা এই সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ও কায়েত পাড়া যুব সংঘের প্রতিনিধি শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমরা কায়েতপাড়া যুব সমাজের উদ্দ্যোগে শিক্ষার্থীরা মিলে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছি। কায়েতপাড়ার গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এতে মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতি ও অপ শক্তির কারণে এই সমস্যা। আমরা সেই মানুষদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে এবং নতুন ভাবে দেশকে সাজাতে পৌরসভার রাস্তাঘাট সংস্কারের এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
শিক্ষার্থী সফিক ইসলাম বাঁধন বলেন, আমাদের এই কার্যক্রমে ছাত্র সমাজসহ স্থানীয়রা একাত্বতা ঘোষণা করেছেন। আশা করি সকলের সহায়তায় আমরা শিক্ষার্থীরা নতুন করে দেশকে সাজাবো।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, মায়ের কাছে সন্তান যেমন নিরাপদ, আর মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখে। ঠিক সে ভাবে এ দেশের ছাত্র-জনতা এই দেশকে আগলে রাখতে পারে। আজকের ছাত্র সমাজ দেশের প্রত্যেকটি স্তরে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে, আমরাও কাজ করে যাচ্ছি। যেমন ছাত্রসমাজের হাতে এই রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তন হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ঠিক সে ভাবে পরিবর্তন হবে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ।
আরো..