https://www.a1news24.com
২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:২০

নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী জুয়েলের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এ গায়ক। লাইফ সাপোর্টে জুয়েলের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তার শরীরে রক্তের সংক্রমণের হার কমেছে। রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা যে কমেছিল, তাও বাড়ছে। শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এমনটা জানিয়েছেন জুয়েলের উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠিকা স্ত্রী সংগীতা আহমেদ।

তিনি আরও বললেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তের সংক্রমণের মাত্রা কমলে এবং রক্তের প্লাটিলেট মাত্রা বাড়ার হার অব্যাহত থাকলে হয়তো চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দেবেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতির এভাবে চলতে থাকলে, স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবে। তবে এর সঙ্গে ক্যানসারের উন্নতির কোনো সম্পর্ক নেই।

১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। জানা গেছে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমেই সংক্রমিত হয়। শুরু থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাসেবা চলছিল। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গায়ক জুয়েলের স্ত্রী সঙ্গীতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ২৩ জুলাই রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপর চিকিৎসকরা আইসিইউতে নেন। সবাই ওর (জুয়েল) জন্য দোয়া করবেন, যেন লাইফ সাপোর্ট থেকে সুস্থভাবে ফিরতে পারে। শারীরিক সুস্থতার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির কারণে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছে গান শিখেছিলেন আর মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন তখন তিনি পড়েন চতুর্থ শ্রেণিতে।

প্রসঙ্গত, ব্যান্ড সংগীত যখন বেশ আলোচনায় তখন নতুন জোয়ারে হাজির হন গায়ক জুয়েল। বাবা ব্যাংকার হওয়ার কারণে ছোটবেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই সংগীতে অভিষেক তার। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে সংগীতে হাতেখড়ি। আর মঞ্চে প্রথম গান করেন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায়।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়ান। সেই সময় বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে পরিচিতি হতে থাকে। ১৯৯২ সালে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয়। দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। তবে এর মধ্যে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি বেশি পরিচিতি লাভ করে। অ্যালবামটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর গায়কের নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।

আরো..