দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন বলেছেন, নিত্যপণ্যসহ সব ধরণের মাংস ও খাদ্যের দাম কমানোর প্রক্রিয়া দারুনভাবে অকার্যকর হচ্ছে। দাম কমানোর প্রক্রিয়া কার্যকর হচ্ছে না। প্রতিদিন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ও অনিয়ম, শতশত কোটি টাকার দূর্নীতি ও গচ্ছার খবর গণমাধ্যমে আসছে। ৯০৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিতে কারসাজি করছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। ২০-১১-১২ আবুল বারাকাতের সময়ে জনতা ব্যাংকের অনিয়ম দূর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। সেই সময় জনতা ব্যাংকের অবস্থার বেগতিক দেখে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী, দূর্নীতি মুক্ত এমপি আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব বারাকাতকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। ধোয়া তুলষিপাতা নামধারী বারাকাত এখন চাপমুক্ত, যা রহস্যজনক। দেশবাসীর প্রশ্ন, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের নামে প্রধান দুই দলের শাসন আমলে ৩০০ টাকার দামে বালিশ কেনা হয় ২৮ হাজার টাকায়, পর্দা কেনা হয় ৩৭ লাখ টাকায়। রাতের আধারে উবে যায় খনির কয়লা, হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার হয়, শীর্ষ ব্যাংক ডাকাত আব্দুল হাই বাচ্ছু সহ ব্যাংক ডাকাতরা জামাই আদরের। গরীব কৃষকের ৬০ টাকা লিটারের ডিজেল রাতারাতি হয়ে যায় ১২০ টাকা। অভিযুক্ত হওয়ার পরও রাজধানীর কিশোর গ্যাংদের গডফাদার ২১ কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোনো এ্যাকশন নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ বিভাগের হাজার হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির সাথে জড়িতদের সনাক্ত হয় না। গ্যাস-বিদ্যুৎতের সরলপ্রাণ নির্দোশ গ্রাহকরা লোডশেডিং ও গ্যাসের কম চাপে বিপর্যস্ত হলেও নিয়মিত বিরতীতে বাড়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। তারপরও এই আলী বাবা ৪০ চোর, লুটপাট সমিতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গণজাগরণ গড়ে উঠে না কেন। এজন্য দেশপ্রেমিক, বুদ্ধিজীবি, গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব, ভিক্তশালী ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদের ঐক্য হওয়া এখন সময়ের দাবি। সাফকথা নিত্যপণ্যেও দাম পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে, জনগণ বিক্ষুব্ধ।
তিনি রোববার (১০ মার্চ) বিকাল ৩টায় নগরীর বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ মার্কেটের ৩য় তলাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি ক্রমবর্ধনমান দূর্নীতির প্রতিবাদে এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ কুদ্দুস খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা সরোজ ভট্টাচার্য্য।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিখন তালুকদার লিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নূর আহমদ জুনেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল ইসলাম নাহিদ, হেলাল আহমদ চৌধুরী, আলীমান আখন্দ, কাজী আজিজুল, রফিকুল ইসলাম, রেজাউল করিম লিটন, রতন তালুকদার, বিজয় চন্দ্রনাথ বিপ্লব, শেখ মোহাম্মদ দিপু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি