https://www.a1news24.com
১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:১২

নাক ও কানে ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা হবে কি?

অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র রমজানে অন্যতম ফরজ ইবাদত রোজা। সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুমিনের জন্য রোজা রাখা ফরজ। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ’। অর্থাৎ, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো। (সূরা বাকারা: ১৮৩)

তবে রমজানে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার কারণে অনেক সময় আমাদের ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত ওষুধ ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই। তবে প্রশ্ন হলো- যারা চোখ, নাক কিংবা কানে ড্রপ ব্যবহার করেন, তারা দিনের বেলায় রোজা রেখে এসব ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন কিনা।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, নাকে কোনো ধরনের ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে এটিকে সরাসরি মানুষের পাকস্থলীতে পৌঁছানো সম্ভব। এ জন্যই মূলত যারা মুখে খাবার গ্রহণ করতে পারেন না, তাদের অনেকসময় ‘রাইস টিউব’ ব্যবহার করে নাকের মাধ্যমে খাবার খাওয়ানো হয়। তবে চার মাযহাবের ইমামগণ এ বিষয়ে একমত যে, রোজা রেখে নাকে কোনোকিছু ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

হাদিসেও এ বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যায়। লাকীত ইবনু সাবরা তার বাবা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অজু সম্পর্কে জ্ঞাত করুন। তিনি বললেন, অজু পরিপূর্ণভাবে করবে। আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে। খুব উত্তমরূপে নাকে পানি ব্যবহার করবে, তবে সিয়ামরত (রোজা অবস্থায়) থাকলে ভিন্ন কথা। (ইবনু মাজাহ: ৪০৭, তিরমিজী: ৭৮৮)

অন্যদিকে, বিভিন্ন সময়ে কানের নানা রোগে ড্রপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ ক্ষেত্রে কানে কোনোকিছু ব্যবহার করলে সেটি সাধারণত গলায় পৌঁছায় না- আধুনিক চিকিৎসাশাত্র এটিই বলে। পূর্ববর্তী ফকিহদের অভিমত ছিল কানে কোনোকিছু ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। চার মাযহাবই এ বিষয়ে একমত। ইমাম কাসানি (রহ.) বলেছেন, ‘যদি কানের মাঝে তেল বা ভিন্ন কিছু ব্যবহার করে তারপর তা পেটে বা মাথায় পৌঁছে যায় তার মাধ্যমে রোজা ভেঙে যাবে।’ (বাদায়িউস সানায়ি: ২/৯৩)

আরো..