https://www.a1news24.com
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:১৯

নতুন অর্থবছরের জন্য আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।

শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসির সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সভার বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা। তবে এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে তুলনামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দও থাকছে বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি খাত-

১. পরিবহন ও যোগাযোগ: প্রায় ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (২৬.৬৭%)।

২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (১৫.৩৮%)।

৩. শিক্ষা: প্রায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা (১১.৩৬%)।

৪. গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধা: প্রায় ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা (৯.৩৮%)।

৫. স্বাস্থ্য: প্রায় ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (৭.৮০%)।

৬. স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন: প্রায় ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা (৬.৭৯%)।

৭. কৃষি: প্রায় ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা (৪,৯৯%)।

৮. পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ: প্রায় ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (৪.১৮%)।

৯. শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা: প্রায় ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা (২.৪৫%)।

১০. বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি: প্রায় ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা (১.২৫%)।

আরো..