https://www.a1news24.com
২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:২০

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি, বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংসদ সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন, ‘সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান মেনে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে এবং বৈঠকের পরই সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওল। তখন তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্ট সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি।’

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেন, ‘সামরিক আইন প্রত্যাহারের ব্যাপারে ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসেছে। বৈঠকের পর সামরিক আইন তুলে নেওয়া হবে।’

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠক করে সামরিক আইন প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। অবিলম্বে সামরিক আইন জারির আদেশটি বাতিল হয়ে যাবে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে টিভিতে দেওয়া ভাষণে সামরিক আইন ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।

জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোকে নির্মূল করার জন্য… আমি এতদ্বারা জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’

প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, অভিশংসন, তদন্ত ও নিজেদের নেতাকে রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধী দল। এজন্য তারা পার্লামেন্টকে ব্যবহার করছে। তাই সামরিক আইন জারি করে পার্লামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।

তবে প্রেসিডেন্টের এই আকস্মিক আদেশ মেনে নিদে পারেননি দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা। তাঁরা পার্লামেন্টে এই আদেশ জারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন সেনাসদস্যরা। ভবনের ওপরে হেলিকপ্টার নামতেও দেখা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে রাতেই পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৯০ জন সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে বলা আছে, ৩০০ সদস্যের অর্ধেকের বেশি আইনপ্রণেতা চাইলে সামরিক আইন তুলে নেওয়া যাবে।

আরো..