অনলাইন ডেস্ক: গেল বর্ষার পরপরই ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা ভেঙেছিল অতীতের সব রেকর্ড। এ বছরও তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি শুরু হওয়ার খবরে ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কায় ঢাকাবাসী। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানিতে বাড়ছে মশার বংশবিস্তারও। অথচ প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন মহলের তোড়জোড় চলে সবসময়। তবে বাস্তবে এর কার্যকারিতা কতটুকু?
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, গত বছর আমার এবং আমার স্বামীর ডেঙ্গু হয়েছিল। এ বছর আবারও বর্ষা চলে এসেছে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে আছে। এখান থেকে মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। তাই সবসময় চিন্তার মধ্যে থাকি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, আমারা চেষ্টা করছি মশা নিধনের আধুনিক যন্ত্র এ বছরের আগস্টেই নিয়ে আসার জন্য। এর ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কমে যাবে।
তবে এতকিছুর পরও ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমার কারণ হিসেবে ওষুধের মানকে দায়ী করছেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, এরিয়া থেকে এরিয়া ভেদে কীটনাশকের ব্যবহার কম-বেশি হয়। ম্যালাথিয়ন কার্যকর এবং ডেল্টামেথ্রিন ১০ গুণ ডোজ বাড়ানো হলে কার্যকরভাবে কাজ করে। তবে অন্য কোনো কীটনাশক তেমন কার্যকর নয়।
তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন- এমন প্রশ্নে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা ডেঙ্গু মশা নিধনের কীটনাশক সরাসরি আমদানি করছি বিটিআই থেকে। ডেঙ্গু নিধনে তিন স্তরে কাজ করা হচ্ছে। প্রথম স্তর কাউন্সিলর, দ্বিতীয় স্তর জোনাল আর তৃতীয় স্তরে কাজ করছে ডিএনসিসি।
প্রসঙ্গত, গেল বছর বিশ্বের ১৩০ দেশে ছড়ায় ডেঙ্গু। যার মধ্যে বাংলাদেশসহ সাত দেশে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। এবার কি হবে, সেই শঙ্কায় সাধারণ মানুষ।