আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের প্রতিবাদ জানাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল শনিবার ‘পিপলস মার্চ’ নামের এ বিক্ষোভ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভ অংশ নেওয়াদের মধ্যে এতে নারী অধিকার ও জাতিগত ন্যায়বিচারসহ নানা বিষয়ে সোচ্চার গোষ্ঠীর কর্মীরা রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তখনও তাঁর অভিষেকের আগে এমন বিক্ষোভ হয়েছিল। তখন অনেকেই গোলাপি টুপি পরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এবারও অনেক বিক্ষোভকারীর মাথায় গোলাপি টুপি দেখা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এই প্রতিবাদের নাম দিয়েছেন ‘পিপলস মার্চ’। ২০১৭ সালের প্রতিবাদটির নাম ছিল ‘উইমেন মার্চ’। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এবারের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম ছিল।
আয়োজকেরা বলেছিলেন, এবারের প্রতিবাদে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ অংশ নিতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ বলছে, এবার ২৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিবাদের অংশ নেয়নি।
এদিকে ট্রাম্পবিরোধীরা আগামীকাল সোমবারেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৩০০টি মিছিল করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামীকাল সোমবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান খোলা স্থানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তীব্র শীতের পূর্বাভাসের কারণে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে অভিষেক অনুষ্ঠান ক্যাপিটাল হিলের কংগ্রেস ভবনের ভেতরেই অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্পে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল লিখেছেন, ‘দেশজুড়ে আর্কটিক ব্লাস্ট চলছে। এ কারণে অভিষেক অনুষ্ঠানের ভাষণ, প্রার্থনা এবং অন্যান্য বক্তৃতা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল রোটুন্ডায় করার নির্দেশ দিয়েছি।’