সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটে উজান থেকে আসা ঢলে হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। শত শত মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। কিন্ত সরকার তাদেরকে উদ্ধার করার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিগত ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় আমরা বার বার সুরমা-কুশিয়ার নদী সহ সকল নদ নদী খনন করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ টিপাইমুখ বাঁধ সহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে আমাদের ন্যায্য হিসার পানি বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দেশের কৃষি খাত মারাত্মক বিপর্যস্ত হয়। আর বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশকে বাসিয়ে দেয়। বন্যার পানিতে আটকে থাকা মানুষদেরকে দ্রুত উদ্ধার করার ব্যাবস্থা নিন, সিলেটের প্লাবিত এলাকাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষনা করুন। সরকার পানিবন্ধি মানুষের পাশে বেই, কিন্তু বিএনপি অতিতেও বন্যার্থদের পাশে ছিল, এখনও আছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে পানিবন্ধি মানুষদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি সকল প্লাবিত এলাকায় বানবাসি মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিএনপি জনগনের দল, আমরা যেকোন দুর্যোগে সব সময় জনগনের পাশে থাকি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আকষ্মিক বন্যায় প্লাবিত জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বানবাসি মানুষদের মাঝে সিলেট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, গত দুই দিনে হঠাৎ করেই টানা বর্ষন আর পাশ্ববর্তী দেশ থেকে আসা ঢলে উত্তর সিলেট প্লাবিত হয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ নিজেদেরে গবাদি পশু সহ পানিবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বার বার উদ্ধারে জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েও পাচ্ছে না। মানুষের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এই ডামি সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বিধায় জনগনের প্রতি তাদের কোন দায় নেই। বিএনপি জনগনের দল, তাই অতিতের মতো বিএনপিই বন্যার্তদের পাশে আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আহমদ, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জেলা বিএনপির মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক জালাল খান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ প্রচার সম্পাদক শাহীন আলম জয়, সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আহমদ সোলায়মান, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকবর হোসেন, ছাত্রদল নেতা আব্দুস সামাদ মুনিম লস্কর, জুবায়ের আহমদ শিমুল প্রমূখ।