নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণগুলো সংকলন দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে দেয়া ভাষণ ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ ও জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ সঙ্কলন ‘আহ্বান’ বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ১৯ বার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে সাধারণ বিতর্ক পর্বে অংশগ্রহণ করে ভাষণ দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বে বাংলায় ভাষণ প্রদানের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতিবারই মাতৃভাষায় বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। ভাষণ প্রদানকালে তার বক্তব্য ইংরেজিসহ জাতিসংঘের অন্যান্য অফিসিয়াল ভাষায় একসঙ্গে ভাষান্তর করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বের ভাষণে সমসাময়িক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে।
তার ভাষণে স্থান পেয়েছে: এমডিজি, এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, বিশ্বশান্তি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, অভিবাসন, ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বে প্রদত্ত ১৯টি ভাষণ এবং সেগুলোর ইংরেজি অনুবাদের সমন্বয়ে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ সংকলন গ্রন্থ। প্রদত্ত ভাষণগুলো বিষয়বস্তু ও প্রাঞ্জল উপস্থাপনার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৯ থেকে ২০২৩-এর অক্টোবর পর্যন্ত জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণগুলোর সংকলন গ্রন্থ ‘আহ্বান’। ভাষণগুলোর বেশিরভাগই সরকারের বর্ষপূর্তিতে দেয়া। কয়েকটি ভাষণ তিনি দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে। বিডিআর বিদ্রোহ, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে এবং সহযোগিতা চেয়ে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।
এছাড়া বাংলা নববর্ষ, ঈদ, স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস উপলক্ষেও তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কয়েকটি ভাষণ দিয়েছেন। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণগুলোতে প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সরকারের উন্নয়ন অর্জনসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছেন। এছাড়া দেশ গঠনে বিরোধীদলসমূহের গঠনমূলক ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন। সমসাময়িক ঘটনাবলি, উন্নয়ন অর্জন, দেশগঠনে প্রধানমন্ত্রীর দর্শন ও ভাবনা এবং সর্বোপরি জনগণের সেবক হিসেবে তার ভূমিকার বিষয়টি এসব ভাষণে উঠে এসেছে।